খুলনাটাইমস: সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি দে ও তার তিন সহযোগীকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবাসহ আটক করেছে র্যাব।বুধবার রাতে নগরীর মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে র্যাব-৯ এর মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.মনিরুজ্জামান জানান। পীযূষের সঙ্গে আটক বাকি তিনজন হলেন তার সহযোগী বাপ্পা পাল, মিন্টু রায় ও রায়হান আহমদ। র্যাব কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, গত বুধবার রাতে মির্জাজাঙ্গালে পীযূষের অফিসে অভিযান চালায় র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি রিভলভার, দুই রাউন্ড গুলি ও ‘বিপুল পরিমাণ’ ইয়াবা পাওয়া যায়। সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক পীযূষের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। নগরীর জিন্দাবাজার-লামাবাজার সড়কের মির্জাজাঙ্গালে ‘আস্তানা’ গড়ে তুলে তিনি এসব কর্মকাÐ চালিয়ে আসছেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য। ২০১৩ সালের ফেব্রæয়ারিতে জিন্দাবাজারে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় অস্ত্র হাতে পীযূষের ছবি বিভিন্ন সংবাদপত্রে ছাপা হয়, যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরের বছর সেপ্টেম্বরে তালতলা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ঢুকে চাঁদা না পেয়ে কক্ষ দখল করে রাখায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গত ৬ অগাস্ট পীযূষের অনুসারীরা তিন প্রবাসীকে মারধর করলে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। এরপর কয়েক দিন মির্জাজাঙ্গালের ‘অফিসে’ যাতায়াত বন্ধ রেখেছিলেন পীযূষ। গত বুধবার রাতে সেখানে ফিরেই তিনি র্যাবের হাতে আটক হন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পীযূষ কান্তি দে’র বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে তাকে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সেলিম মিয়া বলেন, পীযূষের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় দুই রাউন্ডগুলিসহ একটি রিভলবার ও তিনটি রামদা জব্দ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওসি বলেন, মামলায় তার সঙ্গে আটক তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে।