এম জে ফরাজী : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায় খুলনায়ও চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত দলগুলো করছে গণসংযোগ, মতবিনিময়, পথসভার মতো কার্যক্রম। মূল দলের সাথে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও চালাচ্ছেন প্রচারণা। এখন পর্যন্ত খুলনার ৬টি আসনে প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর। সেক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলগুলো।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, খুলনার ৬টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও মহাজোট সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পক্ষে জোর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পোস্টার, মাইকিং, গণসংযোগে পুরোদমে অংশ নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ৬টি আসনেই মূল দলের সাথে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অবিরাম প্রচারণা চালাচ্ছেন। নগরজুড়ে ছাত্রলীগের ১০৮টি ইউনিট প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে। জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। তবে প্রচারণায় খুলনা-৫ আসনে প্রার্থী বর্তমান মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এখনো অনেকটা পিছিয়ে।
বিএনপি সূত্র জানায়, তাদের দলের প্রচারণায় হামলা করা হচ্ছে। তবে প্রচারণায় তারাও পিছিয়ে নেই। কয়েক জায়গায় পোস্টার ছিড়ে ফেলা হলেও তারা আবারও পোস্টার টানিয়েছেন। তাদের খুলনা-২, খুলনা-৩, খুলনা-৪ আসনের প্রার্থীরা জোরেসোরেই গণসংযোগ করছেন। তবে খুলনা-১ আসনের প্রার্থী কিছুটা পিছিয়ে আছেন। জোটের ছেড়ে দেওয়া খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী প্রচারণায় চালিয়ে গেলেও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী জেলে থাকায় তার পক্ষে নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে তারা ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও অন্যান্য দলের চেয়ে এগিয়ে আছেন।
ইসলামী আন্দোলন সূত্র জানায়, খুলনার ৬টি আসনে হাতপাখা প্রতীকের একক প্রার্থীর পক্ষে দিনরাত তারা কাজ করে চলেছেন। সম্প্রতি খালিশপুরে তাদের প্রার্থীর প্রচারণায় হামলা করা হলেও তারা অন্যসব দিকে নিরাপদেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। খুলনা-২, খুলনা-৩ ও খুলনা-৪ আসনে তাদের প্রার্থীরা প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও বাকি তিনটি আসনে এখনো সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তবে শীঘ্রই প্রচারণার গতি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে সূত্রটি জানায়।
এদিকে বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপির সাথে ইসলামী আন্দোলন প্রচারণায় এগিয়ে থাকলেও মহাজোটের অন্যতম শরীক জাতীয় পার্টি প্রচারণায় অনেকটা পিছিয়ে। খুলনা-১, খুলনা-৪ ও খুলনা-৬ আসনের তাদের লাঙল প্রতীকের প্রার্থী থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের সেভাবে প্রচারণা করতে দেখা যায়নি। এছাড়া বিএনএফ, জাকের পার্টি কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিলেও তাদের প্রচারণা নেই বললেই চলে।