১৯ অক্টোবর খুলনাসহ দেশব্যাপী রাজপথ অবরোধের আহবান সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের

0
195

খবর বিজ্ঞপ্তি:
অবিলম্বে বন্ধকৃত ২৫ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু, আধুনিকায়ন করা, অবসরপ্রাপ্ত, কর্মরত, বদলী, অস্থায়ী সকল শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা এককালীন পরিশোধ করা সহ ১৪ দফা দাবীতে ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খুলনাসহ দেশব্যাপী রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ-এর উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর বিকেল ৪টায় রাজঘাট কেজি স্কুল চত্বরে এক শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিকনেতা কামরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও শ্রমিকনেতা শামসেদ আলম শমসের। সমাবেশে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন নাগরিক পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য শ্রমিকনেতা মোজাম্মেল হক খান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑগণসংহতি আন্দোলন ফুলতলা উপজেলা আহবায়ক শ্রমিকনেতা অলিয়ার রহমান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহবায়ক আল আমিন শেখ, শ্রমিকনেতা নজরুল ইসলাম মল্লিক, মোঃ মেহেদী হাসান বেল্লাল, নাজমুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, জামাল উদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই করোনাকালে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলগুলো বন্ধ করে ৫০ হাজার শ্রমিককে কর্মহীন করা এবং লক্ষাধিক মানুষকে নতুন করে দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দেওয়া ক্ষমতাসীন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের চরম নিষ্ঠুরতার বহিঃপ্রকাশ। পাটশিল্পে সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও পাটচাষীসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ নতুন করে ক্রমান্বয়ে দারিদ্র সীমার নীচে নেমে যাচ্ছে। পাটকল শ্রমিক ও এই অঞ্চলের মানুষদের জীবন-জীবিকা অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেয়া কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাটকলে লোকসানের প্রধান কারণ দুর্নীতি, লুটপাট ও ভুলনীতি। এছাড়াও কলকারখানাগুলো আধুনিকায়ন না করা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি না করা। এসব সমস্যার সমাধান না করে কারখানা বন্ধ করা কোনো সমাধান নয়।