হার থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ডে

0
278

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: স্কোরলাইন নিয়ে একটু হতাশা আছে। তবে সব মিলিয়ে শক্তিশালী ওমানের বিপক্ষে দলের পারফরম্যান্সে খুশি জেমি ডে। হারা ম্যাচ থেকে শেখার কথাও জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। ওমানের সুলতান কাবোস স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ৪-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা ওমানকে প্রথমার্ধে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে পারেনি। দল নিয়ে গর্বিত ডের হারা ম্যাচেও খুঁজে পাচ্ছেন ইতিবাচক দিক। “আগের দিনও বলেছি ওমান খুবই ভালো দল; সম্ভবত এটা আমাদের কঠিনতম ম্যাচ ছিল। আমি মনে করি, আমরা দ্বিতীয়ার্ধে উইংয়ে ভালো করেছি। কিন্তু যখন আপনি ভালো একটি দলকে সুযোগ দিবেন, তারা তা কাজে লাগাবে।” “ওমান আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল। আমাদের চেয়ে অনেক ভালো খেলোয়াড়ও তাদের আছে এবং তারা তাদের মান দেখিয়েছে। আমি হতাশ চার গোল খাওয়া নিয়ে। আমি মনে করি, চার গোলের হার আমাদের প্রাপ্য নয়। তবে আমরাও একটা গোল করেছি। এ ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক কিছু আমাদের নেওয়ার আছে।” “আমি মনে করি, আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমি ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। এই ম্যাচ থেকে আমরা শিখব এবং পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব।” বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী মার্চে ফিরতি লেগে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাছাইয়ের প্রথম পর্বে আফগানদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল দল। ওমানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ আগে দেশটিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। জিতেছিল ওমানি লিগের দলের সঙ্গে খেলা প্রস্তুতি ম্যাচেও। ড্রয়ের প্র্যতাশা পূরণ না হওয়ায় হতাশ ডে। “প্রথমার্ধের সেপটা দ্বিতীয়ার্ধে ধরে রাখাই ছিল মূল ব্যাপার। সম্ভবত দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের ডিফেন্স একটু ঢিলে হয়ে পড়েছিল। কিন্তু আবারও বলতে হচ্ছে, ওমান র‌্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে এবং তাদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্যটাও দেখা গেছে মাঠে।” “ড্র নিয়ে ফিরতে পারলে সেটা আমাদের জন্য দুর্দান্ত ফল হতো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি। যদি ওমানকে আরও ১০/১৫ মিনিট আমরা হতাশ করে রাখতে পারতাম, তাহলে আমাদের জালের নাগাল পাওয়া ওদের জন্য কঠিন হতো। কিন্তু আমরা দ্রুত গোল খেয়েছি।” “কিন্তু ছেলেরা তাদের সর্বোচ্চটুকু খেলেছে। প্রতিটি ম্যাচেই তারা তাদের সর্বোচ্চ সীমার চেয়ে বেশি দিয়েছে। আমি ছেলেদের কাছে প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চটা আশা করতে পারি না। এটা অসম্ভব। ছেলেরা যেটা করেছে, তা নিয়ে আমি গর্বিত।”