হংকং বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে বিলে সই ট্রাম্পের

0
281

খুলনাটাইমস বিদেশ :
খবরে বলা হয়, বুধবার (২৭ নভেম্বর) হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে ‘দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি অ্যাক্ট’ নামে একটি বিলে সই করেছেন ট্রাম্প। ফলে, সেটি আইনে পরিণত হয়েছে।
ওই আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্য সম্পর্ক রাখার জন্য প্রতি বছর একবার করে হংকংয়ে স্বায়ত্তশাসন বজায় আছে এমন প্রমাণ দেখিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে চীনকে। সেখানে বলা হয়, হংকং চীনের অংশ হলেও সেটির আলাদা প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে। চীনের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা হংকংয়ের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না, অর্থাৎ হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় থাকবে। আরও বলা হয়, অহিংস বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় গ্রেফতার হলেও হংকংবাসীদের মার্কিন ভিসা পেতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন দেওয়া উচিত।
তাছাড়া, দ্বিতীয় আরেকটি বিলে সই করেছেন তিনি। ওই বিল অনুযায়ী, এখন থেকে হংকং পুলিশের কাছে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম যেমন- কাঁদানে গ্যাস, পেপার ¯েপ্র, স্টান গান, রাবার বুলেটসহ অন্য গোলাবারুদ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে।
ট্রাম্প বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও হংকংয়ের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই বিলে সই করেছি আমি। এই আশা নিয়ে বিল দু’টিতে সই করেছি যেন চীন ও হংকংয়ের নেতা ও প্রতিনিধিরা তাদের মধ্যকার পার্থক্য ভুলে দীর্ঘ শান্তি ও উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারে।
বিলটিতে সই করবেন কি-না সেটি নিয়ে দোনোমনায় ছিলেন ট্রাম্প। এর আগে শি জিনপিংকে একজন অসাধারণ মানুষ উল্লেখ করে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন তিনি হংকংয়ের পাশে আছেন। তবে, বিল দু’টিতে কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ সমর্থন ছিল, তাই ট্রাম্প ভেটো দিলেও তার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে নতুন করে ভোটাভুটি করতো কংগ্রেস।
এই আইন প্রণয়নের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অশুভ উদ্দেশ্য’ রয়েছে দাবি করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি জানায়।
এর আগে, হংকং সরকার এক বিবৃতিতে বলে, এই বিল বিক্ষোভকারীদের ভুল বার্তা দেবে। এটি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে না।
এই মূহুর্তে চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান করতে একটি চুক্তি করতে চাইছেন ট্রাম্প, যার ওপর নতুন এই আইনের প্রভাব পড়তে পারে।
তবে হংকংয়ের গণতন্ত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা যশুয়া অং বলেন, হংকংবাসীর জন্য মার্কিন আইনটি উল্লেখযোগ্য একটি অর্জন।