সেন্সরের পথে ‘হরিবোল’

0
332

খুলনাটাইমস বিনোদন: খুব শিগগিরই সেন্সরে জমা পড়ছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘হরিবোল’! আনিসুজ্জামান নিবেদিত ও বলেশ্বর ফিল্মস প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক। ছবির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও করেছেন নির্মাতা নিজে। নির্মাতা জানান, বাংলাদেশের একটি সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের সমাজ দ্বারা নীপিড়নের গল্পে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হরিবোল’। যে গল্পে দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নির্যাতিত এক নারীর সত্য ঘটনা অবলম্বনে একজন তরুণ নির্মাতা একটি সিনেমা নির্মাণ করতে বলেশ্বর জনপদের একটি গ্রামে যান। সেই গ্রামেই সন্ধান পান এই নিপীড়িত সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের। গল্পের ভেতরে অন্য এক নতুন গল্প। মুক্তিযুদ্ধ এবং সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারকে ঘিরে এরকম এক সমান্তরাল আখ্যানকে উপজীব্য করেই নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘হরিবোল’। পাশাপাশি প্রান্তিক গ্রামের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রে নানাভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নির্মাতা রেজা ঘটক বলেন, ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে প্রায় তিন বছর লাগলো। ছবিতে আমি দুটি গল্পকে সমান্তরালভাবে মার্চ করিয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সাথে স্বাধীনতার পঁয়ত্রিশ বছর পর একটি সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের উপর নেমে আসা প্রচলিত সমাজের নিপীড়নের চিত্র এতে ধরা হয়েছে। বড় ক্যানভাসে ‘হরিবোল’ একটি জনপদকে রিপ্রেজেন্ট করে। বিশেষ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের উপর ‘হরিবোল’ একটি বিশেষায়িত চলচ্চিত্র। ছবিটির কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, এটি যেমন একটি নদী বিষয়ক চলচ্চিত্র, তেমনি এটি একটি পরিবেশ বিষয়ক চলচ্চিত্র। তবে এখানে শেষপর্যন্ত চিরন্তন প্রেমেরই জয়গান করা হয়েছে। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রে মিউজিক কম্পোজ করেছেন অংশুমান। তিনটি গানের গীতিকার ও সুরকারও তিনি। যার মধ্যে একটি গান গেয়েছেন বাউল শফি ম-ল, একটি গান গেয়েছেন অংশুমান এবং অন্য গানটি গেয়েছেন অংশুমানের সাথে একঝাঁক তরুণ শিল্পী। একটি গান লালন সাঁইজির। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন নলীনি ম-ল। আর একটি গান ভবা পাগলার। ভবা পাগলার গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন অংশুমান এবং গেয়েছেন সাত্যকি ব্যানার্জি। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের সাউন্ড ডিজাইন করেছেন অরিজিৎ মিত্র। সাউন্ড মিক্সিং করেছেন সুজয় দাস। সাউন্ড ইফেক্ট করেছেন সুভারুন সেনগুপ্ত ও সোহাম সান্যাল। ফলি আর্টিস্ট ছিলেন যুগল বাগ। ফলি রেকর্ডিস্ট ছিলেন সৌরভ সাহা। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের কালার করেছেন মোহাম্মদ আমির। ডিআই টেকনিসিয়ান ছিলেন কৃষ্ণপদ সর্দার। ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন মোস্তাফিজ ইসলাম, সেলিম হায়দার, জাহিদ হাসান, প্রণব দাস ও রেজা ঘটক। স্থিরচিত্র ধারণ করেছেন দেবাশিষ গুপ্ত, চিন্ময় চক্রবর্তী ও জাহিদ রবি। আর ‘হরিবোল’ চলচ্চিত্রটি সম্পাদনা করেছেন প্রণব দাস। সিনেমাটির টাইটেল ডিজাইন করেছেন শিল্পী সব্যসাচী হাজরা। গ্রাফিক্স করেছেন স্নেহাশিস ভৌমিক। সাব্টাইটেল করেছেন সম্বৃদ্ধি পাল ও রেজা ঘটক। ছবিতে মুক্তিযুদ্ধের উপর সিনেমা বানাতে আসা তরুণ নির্মাতা এসকে চৌধুরী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী ফয়সল। সংখ্যালঘু প্রান্তিক পরিবারের কর্তা নিতাই’র চরিত্রে দেখা যাবে ইকতারুল ইসলামকে। আর নিতাই’র বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৃপ্তি সরেন। আরও আছেন এমরান হোসেন, সেলিম হায়দার, প্রণব দাস, লিয়াকত লিকু, ইউসুফ ববি, জাহিদ হাসান, চিন্ময় চক্রবর্তী, নলিনী ম-ল, রণজিৎ ম-ল, বিধান বিশ্বাস, এমদাদুল হক হাওলাদার, মনোজ মন্ডল, যতীন্দ্র নাথ নাগ, শুকুরঞ্জন মোলোঙ্গী, মুক্তি ম-ল, ইলিয়াস খান, গৌতম মিস্ত্রী, প্রেমানন্দ আকার্শন, অনাদী বালা, জাকির হোসেন হাওলাদার, স্বপন পাল, জীবন কৃষ্ণ ঘরামী, সুনীল কুমার ম-ল, আরিফুল ইসলাম শিপুল, আকাশ সিংহ, অনিক, চন্দন, উৎস, অমিত, শুভ, সৈকত, সোহাগ প্রমুখ। নির্মাতা রেজা ঘটক আশা করছেন সেন্সরবোর্ড থেকে সেন্সর ছাড়পত্র পেলে আগামি নভেম্বর অথবা ডিসেম্বর মাসে ‘হরিবোল’ মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।