সুন্দরবনে মাছ আহরণ শুরু, ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার 

0
329
ওবায়দুল কবির(সম্রাট);কয়রা (খুলনা)প্রতিনিধি :-
সুন্দরবনের ছোট নদী ও খাল গুলোতে দুই মাস সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর রবিবার ভোর থেকে আবারও শুরু হয়েছে মাছ আহরণ।
গত ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সব খালে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে বন বিভাগ। নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনে পাশ-পারমিট নিয়ে জেলেরা মাছ শিকারে যেতে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে বন বিভাগ।
প্রায় দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকার পর আবারও সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া আহরণের পারমিট প্রদান শুরু হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের৷  ১৬টি ফরেস্ট স্টেশন থেকে জেলেরা পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়তে শুরু করেছে।
বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার বন্ধ করতে ও ছোট ফাঁসের ভেষালি, চরপাটাসহ সব ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা রোধ করতে বন বিভাগ গত জুলাই-আগস্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় দুই মাস পারমিট বন্ধ থাকার পর তিন দিন আগে পারমিট ফের ছাড় করা হয়। কিন্তু আবার সেই আগের অবস্থায় সব কিছু চলছে। অননুমোদিতভাবে মাছ ধরা অব্যাহত রয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বেকারত্ব, অশিক্ষা, অসচেতনতা ইত্যাদির কারণে উপকূলীয় নদী এবং মোহনায় মৎস্যের অতি আহরণজনিত চাপ বৃদ্ধি পাওয়া, অবাধে নেট জাল, চরঘেরা জাল, ছোট ফাঁসের বেহান্দি জালের ব্যবহার শিশু মাছের লালন ক্ষেত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ছোট জাল দিয়ে সারা বছর অবাধে মৎস্য আহরণ করায় মাছের জীবনচক্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মৎস্য সম্পদ আহরণের ফলে চিংড়ি মাছসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।পারমিট হাতে পেয়ে ছোট ফাঁসের চরপাটা জাল নিয়ে জেলেদের সুন্দরবনে ঢুকতে দেখা গেছে। অনেকে রাতের অধারে ভেষালি জাল নিয়ে বনে প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে। গত  দুই-তিন  দিনে জেলেরা রেকর্ড পরিমাণ চাকা চিংড়ি ও বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ আহরণ করে মৎস্য কাটায় বিক্রি করেছেন। এলাকার লোকজনের দাবি, ছোট সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষা করতে হলে এ মুহূর্তে ছোট ফাঁসের জালের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।সাথে সাথে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে এ সম্পদ রক্ষার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।