সুন্দরবনে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ ডিম পেড়েছে ২৩টি

0
180

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে চার দিনের মধ্যে আরো একটি বিলুপ্ত প্রজাতির ক”ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ ২৩টি ডিম পেড়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) রাতে প্রজনন কেন্দ্রে পুকুর পাড়ে বালুর মধ্যে একটি বাটাগুর বাসকা ক”ছপ ডিম পেড়েছে। ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বা”চা ফুটবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।
সুন্দরবনের করমজলের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির মোবাইলে জানান, ২০০০ সাল থেকে প”থিবীতে খুজে না পাওয়া বিলুপ্ত প্রজাতির ৮টি বাটাগুর বাসকা ক”চপ খুঁজতে খুঁজতে ২০০৮ সালে আমাদের দেশের নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে সন্ধান মেলে। এই ৮টি বাটাগুর বাসকার মধ্যে ছিল ৪টি পুরুষ ও ৪টি স্ত্রী। ওই বছরই প্রজননের জন্য ৮টি বাটাগুর বাসকা গাজীপুরে নিয়ে যায় বন বিভাগ। কয়েক বছরে ৯৪টি বা”চা দিয়েছিল ৮টি মা ক”ছপ বাটাগুর বাসকা। সেখানে ভালো সারা না পাওয়ায় ২০১৪ সালে মূল ৮টি বাটাগুর বাসকা ও তাদের জন্ম দেওয়া ৯৪টি ছানাসহ করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এই কেন্দ্রে ২০১৭ সালে দু’টি বাটাগুর বাসকা ক”ছপের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বা”চা জন্ম নেয়। এরপর ২০১৮ সালে দু’টি ক”ছপের ৪৬টি ডিম থেকে ২১টি বা”চা, ২০১৯ সালে একটি ক”ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বা”চা, ২০২০ সালের ১০ মে একটি ক”ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বা”চা জন্ম নেয়।
গত ২৮ ফেব্রæয়ারী রাতে একটি বাটাগুর বাসকা ক”ছপ প্রজনন কেন্দ্রে পুকুর পাড়ে ২৭টি ডিম পাড়ার মাত্র চার দিনের মধ্যে বুধবার মধ্যরাতে আরো একটি বিলুপ্ত প্রজাতির ২৩টি ডিম পেড়েছে। দুটি ক”ছপের পাড়া ৫০টি ডিম প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ দিন থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বা”চা ফুটবে। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে থেকে ২০১৭ সালে ২টি, ২০১৮ সালে ৫টি, ২০১৯ সালে ৫টি বাটাগুল বাসকা ক”ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।