সুন্দরবনের ৬ বনদস্যু বাহিনীর ৫৪ সদস্যের আত্মসমর্পণ আজ

0
414

নিজস্ব প্রতিবেদক:
র‌্যাব-৬ খুলনার সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আজ বুধবার আত্মসমর্পণ করবে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু, বনদস্যু বাহিনীর প্রধানসহ ছয়টি বাহিনীর ৫৪ জন সদস্য। এ সময় তারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেবে। নগরীর লবণচরাস্থ র‌্যাব কার্যালয়ে সকাল ১০টায় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনসহ নেভি, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ইতোপূর্বে আত্মসমর্পণকারী বনদস্যুদের ৫৮ জনের প্রত্যেককে পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হবে। র‌্যাব-৬ খুলনার পরিচালক (অতিরিক্ত ডিআইজি) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র‌্যাব-৬ এর সূত্র জানায়, আত্মসমর্পণ করতে রাজি হওয়া দস্যুবাহিনীগুলো হচ্ছে, সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের ভয়ঙ্কর দাদা ভাই ওরফে রাজন বাহিনী, আমীর আলী বাহিনী, হান্নান বাহিনী এবং বরিশালের মুন্না বাহিনী, ছোট শামছু বাহিনী ও সূর্য বাহিনী। ছয় বাহিনীতে ৫০ থেকে ৫৪ জন সদস্য রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে র‌্যাব সুত্র জানিয়েছে। তাদের কাছে দেশি-বিদেশি প্রায় অর্ধশতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি রয়েছে বলে জানা গেছে।
খুলনা র‌্যাব-৬’র অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, খুলনার তিনটি দস্যু বাহিনীর সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে। সুন্দরবনকে নিরাপদ করতে সরকারের নির্দেশ পালন করছে র‌্যাব।
খুলনা অঞ্চলের তিন দস্যুবাহিনী সুন্দরবনের শ্যামনগর, আড়পাঙ্গাসিয়া, মোংলা, আন্ধারমানিক, হারবাড়িয়া, কলাগাছি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করত। বনের ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ রীতিমতো তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। তাদের মাসোয়ারা দিয়ে জেলে-মৌয়ালদের বনে প্রবেশ করতে হতো। এমনকি বনরক্ষীরাও তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকত। তবে সা¤প্রতিক র‌্যাবের বেশ কয়েকটি সফল অভিযানে পর দস্যুদের দৌরাত্ম্য কমতে থাকে। একই সঙ্গে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এসব দস্যু আত্মসমর্পণের পথ খুঁজতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে ২১৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।