সাগরের লোনা পানিতে মানুষ পেটের পীড়ায় আক্রান্ত দুই শতাধিক পরিবার বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানিতে ভাসছে

0
559

শেখ মোহাম্মদ আলী,শরণখোলা থেকে:
শরণখোলায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর বায়ুতাড়িত সাগরের লোনা পানি বগী গ্রামে ঢুকে পড়ায় মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেনা। লবন পানির কারণে অনেকে পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরীবাধ মেরামত না হওয়ায় ওই গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার প্রতিনিয়ত বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানিতে ভাসছে।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের বগী ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রবল বায়ুর চাপে বঙ্গোপসাগরের লোনা পানি বগী গ্রামের মাঠঘাট, পুকুর, ডোবানালা সয়লাব হয়ে গেছে। লবন পানির কারণে গ্রামের সব্জিক্ষেত, মাঠের ঘাষ বিনষ্ট হয়েছে। গাছপালা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। লবনাক্ততার জন্য সুপেয় পানির অভাবে মানুষ দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে পারছেনা তা ছাড়া গবাদী পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে । লবন পানি ব্যবহার করে মানুষজন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত লোকজন হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বগী গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন মাঝি, আলাল হোসেন, ও এমদাদ হোসেন জানিয়েছেন।
অপরদিকে, ঘূর্ণীঝড় ফণীর তোড়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিংবাধ ভেঙ্গে বগী ও দক্ষিণ সাউদখালী গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। নতুন করে বাধ মেরামত না করায় বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত বগী গ্রামের দুই শতাধিক বাড়ী জলমগ্ন হয়ে পড়ে আবার নদীর ভাটায় পানি অল্প পরিমাণে নেমে যায় ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌচেছে। অনেকের বাড়ীতে দুপুরে রান্নাবান্না হয়না । আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে খাওয়া দাওয়া করে তাদের বর্তমান জীবন চলে বলে ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পািকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুফিয়ান রুস্তম জানান, ঘূর্ণীঝড় ফণীর লবন পানির কারণে কোন পেটের পীড়া আক্রান্ত রোগী এ পর্যন্ত হাসপাতালে আসেনি ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা( সিআইপি) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, বগী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ রিংবাধ মেরামতকাজ শুরু করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে জোয়ারের পানি ওঠানামা বন্দ করা হবে।