সন্ন্যাসগাছা ভদ্রা নদীর তীরে খোলা শৌচাগার : পরিবেশ দূশন সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দূর্ভোগ

0
181

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা আবাসন এলাকায় ভদ্রা নদীর তীরে সারিবদ্ধ ভাবে তৈরি করেছে খোলা শৌচাগার। দূর্ভোগ পোয়াচ্ছে পথচারী সহ ডুমুরিয়া উপজেলার রোস্তমপুর এলাকার মানুষ। সরেজমিনে দেখতে গেলে জানাযায়, ডুমুরিয়া ও কেশবপুর দুইটি পাশাপাশি উপজেলা। এর মধ্যবর্তী স্থান খুলনার বানিজ্যিক এলাকা চুকনগর বাজার। চুকনগর বাজারটি খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার মিলনস্থান। যে কারণে এটাকে ট্রানজিট শহর ও বলা হয়ে থাকে। কেশবপুর ও ডুমুরিয়া উপজেলার সীমানা বলতে ভদ্রা নদীকেই বোঝায়। এই ভদ্রা নদীর পাড়েই গড়ে উঠেছে সরকারী আবাসন প্রকল্পের বাসস্থান। এই আবাসনে বসবাস করা লোকেরা নদীর পাড়ে তৈরি করেছে খোলা শৌচাগার। কয়েকদিন আগে নদী খনন করা হলে নদীখননের ডিজাইন অনুযায়ী নদী এগিয়ে এসেছে সন্ন্যাস গাছা আবাসন এলাকার দিকে। অপরদিকে পাশর্^বর্তী উপজেলা ডুমুরিয়ার রোস্তমপুরের রাস্তা ও এগিয়ে এসেছে নদীর পাড় দিয়ে। আর এই সকল খোলা শৌচাগারের কারণে নদীর পাড় দিয়ে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মলমূত্র। এর একদিকে যেমন পরিবেশ দূষন হচ্ছে অপর দিকে দূর্গন্ধ সহ দূর্ভোগ পোয়াচ্ছে পথচারী ও স্থানীয় বসবাসকারী মানুষরা। তথ্য নিলে আরো জানাযায় সন্ন্যাসগাছা আবাসন প্রকল্পে মোট বসবাস করছে ৫০ টি পরিবার। জনসংখ্যা প্রায় ৪০০ এর মত এরা সকলেই ভূমিহীন। যখন আবাসন প্রকল্প তৈরি করা হয় তখন দুইটি পরিবারের জন্য একটি করে শৌচাগার তৈরি করে। বর্তমানে নদী খননের কারণে অধিকাংশ শৌচাগার মাটির নীচে ও ভেক্সেগ গেছে। তবে বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ প্রায় সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানে বলেও জানান বসবাসরত অনেকে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পাশের বাড়ির একজন ব্যাক্তি বলেন এখানে জনপ্রতিনিধি সহ অনেক কর্মকর্তা পরিদর্শন সহ বিভিন্ন কাজের জন্য অত্র এলাকাতে আসে কিন্তু আমরা যে দূর্গন্ধের জন্য এখানে বসবাস করতে পারছিনা সেদিকে কেউ খেয়াল করেনা। অপরদিকে রোস্তমপুর এলাকার লোকজনদের সাথে কথা বললে সবাই একবাক্যে বলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না দূর্গন্ধে। এমনকি গরমের সময় দক্ষিনা বাতাস বইতে থাকলে দূর্গন্ধে আমরা বাড়িতে পর্যন্ত থাকতে পারছিনা। ভূক্তভোগী এলাকার ইউপি সদস্য শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের যাতায়াতের রাস্তা নদীর পাড়। দূর্গন্ধে আমার এলাকার লোকজন যাতায়াত করতে পারছেনা। আমি সন্ন্যাসগাছার স্থানীয় ইউপি সদস্যের সাথে বিষয়টি বলেছি কিন্তু ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান বলেছেন আমাদের কেশবপুরের নির্বাহী অফিসার নিজেই জানেন। এবিষয় নিয়ে কথা বললে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন বিষয়টি আমি জানি কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্র”ত ব্যাবস্থা গ্রহন করার চেষ্টা করছি। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিদর্শন করে গেছেন । নতুন করে আবাসন প্রকল্পের ব্যারাক নির্মান হবে তবে যে সমস্ত খোলা শৌচাগার আছে সেগুলো যাতে না থাকে এবং ওখানে বসবসরত লোকদের জন্য দ্র”ত শৌচাগার করার ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।