শরণখোলায় স্বন্ত্রাসীদের হামলায় দুই শালিশদার আহত

0
293

শরণখোলা প্রতিনিধি:
শরণখোলায় শালিশ করতে গিয়ে স্বন্ত্রাসীদের মারধরে আহত হয়ে মামলা করেও রেহাই পাচ্ছেননা শালিশদার বাদীপক্ষ। এখন আসামীরা মামলার বাদীপক্ষকে জীবননাশ সহ মামলা তুলে আনার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় শরণখোলা থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার মামলা, জিডি ও ভূক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের মৃতঃ মজিদ তালুকদারের স্ত্রী জাহানারা বেগম একই এলাকার বারেক খানের কাছে জমি বিক্রি বাবদ টাকা পয়সা নিয়ে জমি রেজিঃ করে না দিয়ে জাহানারা বেগম আত্মগোপন ও টালবাহানা করে আসছেন। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় অনেক দেনদরবার করে উভয় পক্ষ শালিশ বৈঠকে বসতে রাজী হয়। শালিশের নির্ধারিত দিনে গত ২২ আগষ্ট সকালে মনোনীত শালিশদার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের মোঃ হালিম মাতুব্বর ও জাকির মাতুব্বর শালিশ বৈঠকে ইজিবাইক যোগে উপজেলা সদরে যাওয়ার পথে খোন্তাকাটা জিনতলা নামক স্থানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জাহানারা বেগমের ভাড়াটে লাঠিয়াল প্রকৃতির রাব্বি খান, মাহাবুব খান, রিয়াদুল খান, রাজ্জাক তালুকদার, রফিক তালুকদার জাহিদুল তালুকদারসহ তাদের আরো সঙ্গীয় লোকজন লাঠি, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের বহনকারী ইজিবাইকের পথরোধ করে হালিম ও জাকিরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। ঘটনাস্থলের অদুরে থাকা হালিমের চাচাতো বোন নাজমা বেগম ও পথচারীরা মারধর ঠেকাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা নাজমার ওপর চড়াও হয়ে তাকেও মারপিট করে তার পরিধেয় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে গুরুতর হালিম ও জাকিরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার ৫ দিন পরে হালিম মাতুব্বর বাদী হয়ে রাব্বি খানকে প্রধান আসামী করে ৯ জনের নামে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা আদালত থেকে জামিনে এসে গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে মামলার বাদী হালিমকে ৭ দিনের মধ্যে মামলা তুলে না আনলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় হালিম ৩ সেপ্টেম্বর শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন যার নং ৮৯। উক্ত স্বন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এলাকায় সমাজবিরোধী অভিযোগ এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।