রামপালে ক্রেতাশূন্য দোকানপাট, থেমে নেই এনজিওর সুদ!

0
269

রামপাল প্রতিনিধি: করোনা আতংকে রামপালে নিত্যপন্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য ব্যাবসায়ীদের বেচাকেনা একদম শূন্যের কোঠায় দাড়িয়েছে । এমনিতেই করোনা আতঙ্ক আর তার উপর বাড়তি আতঙ্ক বিভিন্ন এনজিওর ঋন এর কিস্তি। বেচাকেনা না থাকায় ঋন এর কিস্তি দিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তারা। এই সংকটময় অবস্থায়ও এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদ গুনতে হচ্ছে তাদের।
সূত্রে প্রকাশ, রামপাল সদর, ফয়লাহাট সহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক ডজন এনজিও, মাল্টিপারপাস ও কো অপারেটিভ ঋনদান করে থাকে। এর মধ্যে নবলোক, আশা, ব্রাক, ব্যুরো বাংলাদেশ, কারিতাস, আরআর এফ, গ্রামীন ব্যাংক এদের কাছ থেকে সাধারনত প্রত্যন্ত এলাকার গরীব মহিলারা, দীনমজুর বা অতিক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা এবং মাঝারী ব্যাবসায়ীরা ঋন গ্রহন করে থাকে। এদের আয়ের উৎস একদমই সীমিত। করোনা আতংকে দোকানপাট খোলা থাকলেও নেই কেনাবেচা। তাই কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতে পারলেও তাদের উপর নানাভাবে জোর জবরদস্তি করার অভিযোগ করেছেন অনেকেই। উজলকুড় ইউনিয়নের দরিদ্র ভ্যান চালক জিহাদ হোসেন জানান, এখন রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল কম। তাই ভ্যান চালিয়ে সংসারের জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তার উপর দুইটি সমিতি লোনের টাকা নিয়ে খুব চাপ দিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও একাধিক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী জানান, লোন নিয়েছি,নিজে না খেলেও এদের টাকা দেয়া লাগে। কিছু কিছু এনজিও টাকা না দিলে বাড়িতে এসে উঠে বসে জোর জবরদস্তি করে। একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে লোনের কিস্তি,বাড়িতে থেকেও পালিয়ে বাঁচার উপায় নেই।
আশা রামপালের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পলাশ জানান, আমাদের লোনের কিস্তি নেবার কার্যক্রম এখনও চলমান আছে। কিস্তি নেয়া বন্ধ করতে উপরের কোন নির্দেশনা পাইনি। নবলোকের ফয়লাহাট ব্রাঞ্চ ম্যানেজার উত্তম কুমার দাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখনও পর্যন্ত আমাদের লোনের কিস্তি চলমান রয়েছে। উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের এখনও পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারিনি। কারিতাস রামপাল ব্রাঞ্চ ম্যানেজার নার্গিস খাতুন বলেন,কিস্তি বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা এখনও পাইনি। আরআরএফ এর রামপাল ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ আব্দুল ওহাব জানান,আমাদের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও পাওয়া যায়নি। পেলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।