রামপালে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

0
309

রামপাল প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্নী গ্রােেম এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের সম্পদ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ওই মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এতে এলাকাবাসী ওই ব্যাক্তির দূর্নিতীর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এনামুল হক মুন্সী। তিনি বর্নী সায়েরাবাদ কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, ওই ব্যাক্তি ২০১৩ সাল থেকে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সময় রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য মসজিদের প্রায় ৪ বিঘা জায়গা গ্রহন করা হয়। তখন ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মসজিদ কমিটিকে দেয়া হয়। এই ক্ষতিপূরনের টাকা তিনি এবং তৎকালীন সভাপতি রাসেল জাহাঙ্গীর পলাশকে সাথে নিয়ে ওই টাকা উত্তোলন করেন। পরে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তিনি ওই টাকা অদ্যাবধি ফেরত দেন নাই এবং মসজিদ সংস্কারে ও কোন টাকা ব্যয় করেননি। এই টাকা উত্তোলনের পর বাকবিতন্ডার সূত্র ধরে সভাপতি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে ওই ইউপি মেম্বার তার ক্ষমতার দাপটে নিজেই সর্বেসর্বা বনে বসে। এছাড়াও মসজিদের বাৎসরিক বিভিন্ন খাতের আয় কয়েক লাখ টাকাও তিনি ২০১৩ সাল থেকে নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন বলেও মসজিদ কমিটি সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য তার কাছে একাধিকবার টাকার হিসাব চাইলে তিনি তাদের হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ২ মাস পূর্বে মসজিদ কমিটি এনামূলের কাছে টাকার হিসাব চেয়ে লিখিত পত্র পাঠালেও তিনি তা গ্রহন না করে পত্রবাহককে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত এনামুল হক মুন্সীর কাছে জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই ঘটনাটি তদন্ত করে যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।