রং বদলে রঙিন করি’ শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন করেছে বার্জার পেইন্টস

0
968

খবর বিজ্ঞপ্তি: সম্প্রতি খুলনা মহানগরে ‘রং বদলে রঙিন করি’ শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন করেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আমাদের সাথে কথা বলেছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার মোফরাদ মুনুাসির
১. দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে এতো দীর্ঘসময় ধরে বার্জার পেইন্টসের বাংলাদেশে একই অবস্থান ধরে রাখার পেছনের গল্পটা কি?
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: এতো দীর্ঘসময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে রাখার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বার্জার পেইন্টসের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা। নব্বইয়ের দশকের ‘কালার ব্যাংক’ থেকে শুরু করে হালের গ্রিন পেইন্টিং সল্যুশন ব্রিদ ইজি, ১০ বছরের ওয়ারেন্টিসমৃদ্ধ ওয়েদার কোট অ্যান্টি ডার্ট সুপ্রিম, এক্সপ্রেস পেইন্টিং সার্ভিস, কন্সট্রাকশন ক্যামিকেল, এক্সপ্রেস সেলারসহ আরো অনেক পণ্যের প্রতিফলনই হচ্ছে আমাদের সফলতার পেছনের গল্প। আমরা আমাদের সকল রংগুলোকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর মান অনুযায়ী সীসা মুক্ত করেছি। পরিবেশ সমাজ ও মানের ক্ষেত্রে আমাদের এই আপোষহীণ মনোভাব গ্রাহকের মনে আস্থা তৈরিতে সহায়তা করেছে।
২. সম্প্রতি খুলনা মহানগরে ‘রং (ডৎড়হম) বদলে রঙিন করি’ শিরোনামে একটি ক্যাম্পেইন করেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ। স্যোশাল মিডিয়ার বদৌলতে পুরো দেশেই আলোচিত ক্যাম্পেইন এটি। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলুন।
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: খুলনা মহানগর নানা কারণেই বিখ্যাত। পাট শিল্পের জন্যে বিখ্যাত খুলনাকে বলা হতো শিল্পনগরী। এছাড়া ইউনেস্কো ঘোখিু বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অবস্থান খুলনা বিভাগেই। দক্ষিণাঞ্চলের এই দৃষ্টিনন্দন নগরে প্রতিনিয়ত আগমন ঘটে লাখো মানুষের। তাই পুরো দক্ষিণাঞ্চলের এই জনপদটিতে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি এবং এর থেকে উত্তরণের উপায়ের বার্তা পৌঁছে দিতেই খুলনা শহরের তিনটি জনবহুল অঞ্চল কেডিএ, খালিশপুর এবং ফেরিঘাট এলাকার তিনটি ভবনে আঁকা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন তিনটি দেয়ালচিত্র।
৩. খুলনায় কোন বার্তাগুলো পৌঁছে দিতে চেয়েছেন ‘রং (ডৎড়হম) বদলে রঙিন করি’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে?
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: আমরা মোট তিনটি বিষয়ে সচেতনুা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছি। আপনারা জানেন যে খুলনা শহর দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন একটি শহর। তবে নগরায়নের ফলে এই নান্দনিক নগর থেকেও হারিয়ে যাচ্ছে সবুজের ছোঁয়া। তাই আমাদের একটি দেয়ালচিত্রে উঠে এসেছে নগরে সবুজায়নের আহবান। খুলনা শহর ক্রমেই এক তিলোত্তমা মহানগরীতে পরিণত হতে চলেছে। নগরের ব্যস্তজীবনে অনেক বাবা-মা ব্যস্ততার মাঝে সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না অথচ সন্তানের বিকাশে বাবা-মায়ের সঙ্গ খুবই জরুরী একটি অনুষঙ্গ। তাই আমাদের সন্তানের সাথে পর্যাপ্ত সময় কাটানোর আহবান জানিয়ে রয়েছে একটি বার্তা। দেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ তরুণ প্রজন্ম। আমাদের এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন মাদকের কালো থাবায় হারিয়ে না যায়, সে বিষয়ে সচেতনুা তৈরির বার্তা রয়েছে একটি দেয়ালচিত্রগুলোতে।
৪. এই ক্যাম্পেইনের নান্দনিক দেয়ালচিত্রগুলোতে কাদের অবদান সবচেয়ে বেশি, সে বিষয়ে আমাদেরকে জানান?
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: রঙ বদলে রঙিন করি ক্যাম্পেইনে দেয়ালচিত্রগুলো এঁকেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে পাশ করা শিল্পীরা। সাধারণত এতো বিশাল ক্যানভাসে ছবি আঁকা খুবই কঠিন একটি কাজ। সেদিক থেকে আমি বলবো শিল্পীরা খুবই প্রশংসনীয় কাজ করেছেন।
৫. এই ক্যাম্পেইনের পেছনের গল্প সম্পর্কে আমাদের বলুন?
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে সমাজ সচেতনুামূলক ও সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে এই ক্যাম্পেইনের জন্ম। এর মাধ্যমে সমাজের যেসব ভুল আমাদের অগ্রগতির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় এমন সব ভুলগুলো শুধরে এগিয়ে যাবার বার্তা পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্য থেকেই ‘রং (ডৎড়হম) বদলে রঙিন করি’ ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু। এই ক্যাম্পেইনে নান্দনিক সব দেয়ালচিত্রের মাধ্যমে নগরের শোভাবর্ধনের পাশাপাশি সর্বত্র সচেতনুার বার্তা পৌঁছে দেবার লক্ষে কাজ করেছি।
৬. ‘রং (ডৎড়হম) বদলে রঙিন করি’ ক্যাম্পেইনের একেবারে শুরু থেকেই আপনি জড়িত। আপনার অভিজ্ঞতা, ভালোলাগা সম্পর্কে কিছু বলুন?
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: বাংলাদেশ রঙের দেশ হিসেবে রঙের ছোঁয়া আপনি সবখানেই দেখতে পাবেন। হোক সেটা রিকশায়, ট্রাকে কিংবা ঘরের উঠানে আলপনা আঁকার মধ্য দিয়ে। তবে ক্যানভাস হিসেবে বিশাল ভবনকেও যে বেঁছে নিয়ে চিত্রকর্ম তৈরি করা যায়, এই বিষয়টি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মাঝে দারুণ উচ্ছ্বাস কাজ করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই গ্রাফিটি বা দেয়ালচিত্রের প্রচলন রয়েছে। অনেক দেশেই এধরণের শিল্পকর্ম পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। আমাদের আশা আমাদের দেশেও এধরনের শিল্পকর্ম সেই স্থানটিকে পর্যটন আকর্ষণে পরিণত করবে।
৭. সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বার্জার আর কি কি কাজ করছে এই মুহুর্তে?
মোফরাদ মুনুাসির , গ্রুপ ক্যাটাগরি ম্যানেজার, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড: আমরা গত ২৪ বছর ধরেই ‘ইয়ং পেইন্টার্স আর্ট কম্পিটিশন’ শিরোনামে তরুণ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে একটি চিত্র প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। গত ২৪ বছরের অনেক প্রতিযোগী ও বিজয়ীরা এখন দেশের স্বনামধন্য শিল্পী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়াও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যে পরিচালিত বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা সরাসরি অবদান রেখে চলেছি। বার্জার মূলত মননশীলতা ও আমাদের প্রতিবেশ রাঙ্গানোর কাজটি করে থাকে। সমাজে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের জীবনে রঙ কিছুটা হলেও মলিন। সমাজের এমনই একটি অংশ রয়েছেন বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথআশ্রমে। বার্জার ইতোমধ্যে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এধরণের প্রতিষ্ঠানের বাসিন্দাদের জীবনে কিছুটা হলেও রঙের ছটা পৌঁছে দিতে।