যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের জন্য লাইসেন্স দেবে

0
312

খুলনাটাইমস আইটি: হুয়াওয়ের কাছে পণ্য সরবরাহের অনুমোদন দিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেবে যুক্তরাষ্ট্র। পুনরায় বাণিজ্যিক আলোচনা শুরু করতে এসপ্তাহেই সাক্ষাৎ করেছেন দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। তবে, পণ্যের শ্রেণি হিসেবে ‘নন সেনসিটিভ’ কথাটি বলে দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় রয়েছে হুয়াওয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, পণ্যের মাধ্যমে গ্রাহকের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে হুয়াওয়ে। যদিও দেশটির এমন দাবি বারবারই নাকচ করে আসছে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্কিন সরকারের অনুমতি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি কিনতে পারবে না হুয়াওয়ে। এতে গুগল মোবাইল সার্ভিসেস-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগুলোও সীমিত হয়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির জন্য। অগাস্টে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা থেকে কিছু পণ্য বাদ দিতে লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো। হুয়াওয়ের কাছে পণ্য বিক্রি করতে লাইসেন্সের আবেদন করেছে ১৩০টির বেশি মার্কিন প্রতিষ্ঠান। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় ছাড়ের বিষয়গুলো বিবেচনা করেই লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। হুয়াওয়ের কাছে ‘নন সেনসিটিভ’ পণ্য রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এক সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিতে আগের সপ্তাহেই সবুজ সংকেত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। রয়টার্সকে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, বুধবার বিকাল পর্যন্তও মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি হুয়াওয়ে। জুন মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প অঙ্গীকার করেন যে, হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করছে এমন মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। এরপর থেকেই নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিলো প্রতিষ্ঠানগুলো। লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎকণ্ঠা কিছুটা কমাবে -বলা হয়েছে টাইমসের প্রতিবেদনে। ১৫ মাসের বাণিজ্যিক যুদ্ধের ইতি টানতে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকেই ওয়াশিংটনে আলোচনায় বসবে দুই দেশ। এরইমধ্যে লাইসেন্স দেওয়ার এই পদক্ষেপটি সামনে এসেছে। এরই মধ্যে সোমবার আরও ২৮টি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় উঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার বিষয়টি আমলে নিয়ে চিন্তা করে শীর্ষস্থানীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্টার্টআপগুলোকেও এই তালিকার যোগ করা হয়েছে।