মোংলায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেয়া হচ্ছে ভুল রিপোর্ট

0
493

মোংলা সংবাদদাতা : মোংলায় রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভুল রির্পোট দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রোগী সাধারণসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভুল রির্পোটে রোগীদের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি জনসাধারণ প্রতারিত হচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের আবু দাউদ পৌর শহরের বহুমুখী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকার মুষুর্ষ রোগী জেসমিন বেগমের (২৩) জন্য ও-নেগেটিভ রক্ত দিতে শনিবার বিকেলে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপর পাশের রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। বিকেলে দাউদের ও-নেগেটিভ রক্ত নেয়ার পর রাতে সেই রক্ত রোগী জেসমিনকে দেয়ার আগে রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো: জাহাঙ্গীর বলেন এ রক্ত রোগীকে দেয়া যাবে না। কারণ যিনি ও-নেগেটিভ বলে রক্ত দিয়েছেন তার রক্ত মুলত ও-নেগেটিভ নয়, ও-পজেটিভ। তার সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ও-পজেটিভ এসেছে। রক্তের প্রয়োজনে দিশেহারা জেসমিনের পরিবারের সদস্যরা রক্তদাতা দাউদকে বিষয়টি জানালে তিনি রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে তার রক্তের গ্রুপ ও-নেগেটিভ বলে চ্যালেঞ্জ করলেও তা মানতে রাজি নন সেন্টারের মালিক জাহাঙ্গীর। পরবর্তীতে রক্তদাতা দাউদ শহরের ১নম্বর জেটি এলাকার আধুনিক প্যাথলজি ও বাগেরহাট জেটি রোডের মনির ডায়াগনস্টিক সেন্টার তার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়ে রির্পোটে দেখেন তার চ্যালেঞ্জ মোতাবেকই রক্ত ও-নেগেটিভ। পরবর্তীতে আধুনিক প্যাথলজির মাধ্যমে দাউদের দেয়া ও-নেগেটিভ রক্ত অবশেষে রোগী জেসমিনের শরীরের প্রবেশ করানো হয়।
রক্তদাতা দাউদ বলেন, আমার রক্তের গ্রুপ ও-নেগেটিভ, আমি এর আগেও ৫ বার রক্ত দিয়েছে। অথচ রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বলা হচ্ছে আমার রক্তের গ্রুপ নাকি ও-পজেটিভ। এ ধরণের ভুল রির্পোট দিয়ে রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোগীসহ সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে, তাই আমি প্রশাসনের কাছে এ প্রতারকের বিচার চাই। তিনি অরো বলেন, রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও যারা কাজ করে তাদের যোগ্যতা এবং দক্ষতা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগ খোজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এটাই আমার দাবী।
এ বিষয়ে রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো: জাহাঙ্গীর বলেন, আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় রিপোর্টটি সঠিক পাচ্ছিলাম না, যে নেগেটিভ নাকি পজেটিভ। পরবর্তীতে তাদেরকে অন্য জায়গা টেস্ট করতে বলেছি। এতে আমি কোন টাকা পয়সাও নেইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।