মেজর হয়ে ফিরছেন সুলতান সুলেমান

0
830

খুলনাটাইমস বিনোদন: সুলতান সুলেমান নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে দুনিয়া কাঁপানো এক সাহসী সম্রাটের মুখ। তিনি বুদ্ধিমানও। তার রোমান্টিকতারও সুনাম ছড়িয়ে আছে দুনিয়াজোড়া। স্ত্রী হুররেম সুলতানের সঙ্গে তার প্রণয় ও দাম্পত্য জীবনের নানা গল্প ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। তুরস্কের সিরিয়াল ‘সুলতান সুলেমান’র সুবাদে অটোমান সাম্রাজ্যের সেই সম্রাট যেন নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন সবার কাছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে তার তুমুল জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে দীপ্ত টিভিতে প্রচার হওয়া সিরিয়ালটির কল্যাণে। ইতিহাসের গবেষণা কিংবা বইয়ের পাতা থেকে সম্রাট সুলেমান পৌঁছে গেছেন বাংলার দর্শকের কাছে। বাংলায় ডাবিং করে প্রচার হওয়া সিরিয়ালটিতে সুলতান সুলেমানের চরিত্রে অভিনয় করে তুরস্কের অভিনেতা খালিদ এরগেঞ্চ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বিশ্বজুড়েই দর্শক মাতিয়েছে তার শক্তিশালী অভিনয়। সেই খালিদ ফিরছেন এবার নতুন চরিত্রে, নতুন গল্পে। তুরস্কে নির্মিত হয়েছে ইতিহাসভিত্তিক আরও একটি সিরিয়াল। তুর্কী ভাষার ‘ভাতান্ম সেনসিন’ নামের সেই সিরিয়াল এরইমধ্যে বিশ্বের নানা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। এবার এটি প্রচার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেও। ২৪ ডিসেম্বর থেকে বাংলায় ডাবিং করে ‘জননী জন্মভূমি’ নামে প্রচার হবে এটি। শনি থেকে শুক্রবার প্রতিদিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটে দীপ্ত টিভিতে প্রচার হবে এই তুর্কী ধারাবাহিকটি। এখানে সুলতান সুলেমান চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া খালিদকে দেখা যাবে সাহসী বীর একজন মেজরের ভূমিকায়। যার নাম জেভদেত। তুরস্ক থেকে বহিরাগত শত্রুদের তাড়াতে বুদ্ধি ও শক্তির খেলায় মেতে উঠবেন তিনি। নাটকে তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেরগুজার কোরেল। বাস্তব জীবনেও খালিদ ও বেরগুজার স্বামী-স্ত্রী। তুরস্কের ইতিহাসে বিখ্যাত মেজর মুমিন আকসায় (গাবুর মুমিন) এর বাস্তব জীবন আর ইজমির স্বাধীন হওয়ার সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে বিখ্যাত তুর্কী সিরিয়াল ‘জননী ও জন্মভূমি’। যেখানে দেখা যাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৯ সালে ‘সেভরেস চুক্তি’র মাধ্যমে গ্রিকরা ইযমির ফিরে পায়। যা প্রায় ৪০০ বছর অটোম্যানদের অধীনে ছিলো। তৎকালীন গ্রিক জেনারেল, জেনারেল ভাসিলি ইজমির পুনর্গঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন জেভদেত নামের একজন অটোম্যান মেজরের উপর যিনি একটা গোপন মিশন বাস্তবায়নের জন্য গ্রিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। ইজমির থেকে গ্রিকদের, আইনতাপ থেকে ফরাসিদের আর রাজধানী থেকে বৃটিশদের হটিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা এখান থেকেই শুরু হয়। জেভদেতের বুদ্ধিমত্তা আর আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে মাত্র তিন বছর পরেই গ্রিকদের হটিয়ে ইজমির আধুনিক তুরস্কের অংশ হয়। গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, ১৯১২ সালের প্রথম বলকান যুদ্ধে সেলানিকের পতনের পর আহত অবস্থায় জেভদেত গ্রিক বাহিনীর হাতে বন্দী হয়। অন্যদিকে দাঙ্গার কারণে সেলানিক থেকে ইজমিরে চলে আসে জেভদেতের পরিবার। ৭ বছর পর গ্রিক বাহিনীর কমান্ডার হিসেবে ইযমিরে আসে জেভদেত। কিন্তু তার এই নতুন পরিচয় মেনে নেয় না মা হাসিবে, স্ত্রী আজিজে, ছেলে আলি কেমাল ও মেয়ে হিলাল। গ্রিকবাহিনীর কমান্ডারের ছদ্মবেশে একদিকে মুক্তিকামীদের সংগ্রাম অন্যদিকে পরিবার আর তুর্কী সমাজের সাথে জেভদেতের দূরত্ব; ইত্যাদি নানা ঘটনাকে অবলম্বন করেই গল্প এগিয়ে যেতে থাকে এই নাটকের।