মিথ্যা তথ্যে দুই এনআইডি: ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা

0
241

খুলনাটাইমস: প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় এনআইডি করায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মমিন মিয়া। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি সত্য। গত রোববার মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র করেছেন তিনি। করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথকেয়ারের জালিয়াতির ঘটনায় দায়ের হওয়ায় মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। ওই মামলায় তাদের বিচার চলছে। ইসি সূত্র জানায়, ডা. সাবরিনার দুই এনআইডিতে দুই স্বামীর নাম উল্লেখ আছে। একটি এনআইডির চেয়ে অন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। বর্তমান তার দুটি এনআইডিই সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সূত্র আরও জানায়, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নাম দিয়ে। এর একটিতে জন্মতারিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। দুটি আইডিতে বয়সের ফারাক পাঁচ বছর। একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন ও মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন। অপরটিতে মা-বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন। দুই এনআইডিতে দুই ঠিকানা ব্যবহার করছেন ডা. সাবরিনা। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা, অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্রগতি সরণির আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদÐ এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদÐ হতে পারে ডা. সাবরিনার। ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হতে পারে। এদিকে করোনাকাÐে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের এনআইডি স্থগিত করে ইসি। তিনি নিজের নাম সংশোধন করে ‘সাহেদ করিম’ থেকে ‘মোহাম্মদ সাহেদ’ হয়ে যান। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ কাজ করায় সে ঘটনাটিরও তদন্ত চলছে।