মানববর্জ্য শোধনাগার সরেজমিন পরিদর্শন করেন : সিটি মেয়র

0
393

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক (২৫ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ভোরে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে রাজবান্ধ এলাকায় নির্মিত মানববর্জ্য শোধনাগার সরেজমিন পরিদর্শন করেন। প্রাকৃতিক উপায়ে মানব বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ১.৩ একর জমির ওপর ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে মানববর্জ্য শোধনাগারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এসএনভি নেদারল্যান্ডস ডেপেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে বিল এন্ড মেলিন্দা গেটস ফাউন্ডেশন এ প্রকল্পে অর্থায়ন করে।
পরিদর্শনকালে সিটি মেয়র আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির সমন্বয়ে নিমির্ত পরিবেশ বান্ধব এ মানব বর্জ্য পরিশোধন কেন্দ্রটিকে আরো বৃহৎ পরিসরে উন্নীত করার জন্য দিক নির্দেশনা দেন। তিনি বাড়ির মালিকদের প্রতিবছর অন্তত একবার সেফটিক ট্যাঙ্ক পরিস্কার করার বিষয়ে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ পিইঞ্চ, এসএনভি নেদারল্যান্ডস অর্গানাইজেশনের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর টম ডেরেকসন, কান্ট্রি ডাইরেক্টর জেসন বেলেঞ্জার, টীম লিডার রাজীব মুনানকামী, কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, কঞ্জারভেন্সী অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান, চীফ প্লানিং অফিসার আবির উল জব্বার, জনসংযোগ কর্মকর্তা সরদার আবু তাহের, এসএনভি’র গভর্ন্যান্স এডভাইজার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সিটি কো-অর্ডিনেটর ইরফান আহমেদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেপটিক ট্যাংক খালি করা এবং তা নিরাপদ প্রক্রিয়ায় অপসারণ করার জন্য বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫টি ভ্যাকুট্যাগ রয়েছে। বড় দু’টি যথাক্রমে ৭ হাজার ও ৫ হাজার লিটার এবং ছোট ৩টি’র প্রতিটিতে ১ হাজার লিটার বর্জ্য ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। হোল্ডিং মালিকগণ কেসিসি’র কঞ্জারভেন্সী বিভাগে যোগাযোগ (০৪১-৭৩০১২৮) করলে ভ্যাকুট্যাগের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সেপটিক ট্যাংক খালি করা হবে। পরে তা রাজবাঁধ ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে স্থাপিত শোধনাগারে রিসাইক্লিন এর মাধ্যমে কম্পোস্ট সার ও বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হবে। এ শোধনাগারে প্রতিদিন প্রায় ১’শ ৮০ লিটার বর্জ্য পরিশোধন করা যাবে। পরিদর্শন শেষে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক শোধনাগার প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন করেন। বিজ্ঞপ্তি