বিক্ষোভে উত্তাল ভারত

0
318

খুলনাটাইমস বিদেশ : নয়াদিল্লিতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে যুবকের গুলি চালানোর প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দিল্লিজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। পুলিশের উপস্থিতিতে এমন ঘটনায় বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। এদিকে, ভারতে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের ব্যাখ্যা এরইমধ্যে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গেল কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভরতদের দেশোদ্রোহী অ্যাখ্যা দিয়ে গুলি করে মারার হুমকি দিয়ে আসছেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বৃহস্পতিবার সেই গুলির প্রতিফলন ঘটলো দিল্লির জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় রামভক্ত গোপাল নামে এক যুবক। এতে আহত হন এক শিক্ষার্থী। পুলিশের সামনেই শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে এ গুলির ঘটনার পরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের সব রাস্তায় অবস্থান নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। তারা বলছে, সে হঠাৎই আমাদের মিছিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। তারপর চিৎকার করতে থাকে। একপর্যায়ে এই নে তোদের আজাদী বলে গুলি চালায়। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাড়াও এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় পুরো দিল্লিতেই। শিক্ষার্থীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে প্রতিটি এলাকায় মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ হয়েছে পুনে, হায়দ্রাবাদসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরে। গুলির পরপরই অভিযুক্তকারীকে আটক করা হয়েছে দাবি করে বিজেপি সভাপতি ও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। এদিকে, ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানায়, ভারতে কেনো আইনটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা বাংলাদেশের কাছে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রবীশ কুমার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সর্ম্পক এখন সবচেয়ে মজবুত। নাগরিকত্ব আইন কেনো করা হয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আমরা জানিয়েছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এটাও বলেছেন যে, আইনটি ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। সম্প্রতি গাল্ফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, নাগরিকত্ব আইনটিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ কোরে একে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।