বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় আইওএম’কে ২০ লাখ ইউরো দিলো জার্মানি

0
217

খুলনাটাইমস: ঢাকা-জার্মান ফেডারেল পররাষ্ট্র দপ্তরের সহায়তায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও দরিদ্র স্থানীয়দের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে আরও প্রসারিত করবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। পাশাপাশি কক্সবাজারে অসুস্থ ভ্রমণকারীদের চিহ্নিতকরণ, পরীক্ষা ও অন্য কোথাও নিয়ে যেতে প্রবেশপথের (পিওই) সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক এই সংস্থা। এজন্য আইওএম’কে ২০ লাখ ইউরো দিয়েছে জার্মানি। এই অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম তিনটি পৃথকীকরণ ও চিকিৎসাকেন্দ্র নির্মাণ করবে, ১০০টি মধ্যবর্তীকালীন আশ্রয়কেন্দ্রকে নতুন করে স্বল্প ঝুঁকিসম্পন্ন কেসের জন্য কোয়ারেন্টাইন ও পৃথকীকরণ কেন্দ্রে পরিণত করবে, ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সুবিধার্থে কাজের বিনিময়ে অর্থ (ক্যাশ ফর ওয়ার্ক) প্রকল্পকে সহায়তা জোরদার করবে। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স জীবাণুমুক্তকরণের তিনটি স্থান তৈরি, অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে সমন্বয়, শরণার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং-এ কাজ করা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদানেও কাজ করবে আইওএম। এছাড়া, এই অর্থায়ন দেশের প্রবেশপথগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের কার্যক্রমকেও শক্তিশালী করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে- অসুস্থ ভ্রমণকারীদের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পিওই কর্মীদের প্রশিক্ষণ, কক্সবাজার বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং ও পৃথকীকরণ সুবিধা স্থাপন, পিওই’র সম্মুখসারির কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় উপাদান প্রদান, পিওই কর্তৃপক্ষদের নিয়ে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সিস অব ইন্টারন্যাশনাল কনসার্ন (পিএইচইআইসিস) বিষয়ক দেশব্যাপী সম্মেলন আয়োজনে সহায়তা প্রদান। ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন, বাংলাদেশে আইওএম-এর কার্যক্রমে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা জরুরি। আইওএম বাংলাদেশ-এর মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, এই সহায়তার জন্য আমরা জার্মান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ। এই সহায়তার ফলে আমরা বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের, যারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, তাদের জরুরি স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদানে কাজ করে যেতে সক্ষম হব। এ ছাড়া আমরা প্রবেশপথগুলোতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান রাখতে পারব।