খবর বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূশের্দী বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে সব ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানবসেবার মাধ্যমে সৌহার্দ্য ও স¤প্রীতি স্থাপন করা, মানুষের মঙ্গল করা। ধর্মের এই মর্মবাণী সবাই ধারণ করতে পারলেই পৃথিবীতে কোনো হানাহানি, মারামারি ও অশান্তি আর থাকবে না।
তিনি বলেন, আমাদের এই বাংলাদেশ সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির ক্ষেত্রে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, বাঙালি, মগ, চাকমা সব ধর্মের সব জাতির মানুষের যে সহাবস্থান এবং সা¤প্রদায়িক সম্পর্ক, তা পৃথিবীতে বিরল।
সোমবার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামের কয়েকটি মন্দির ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে দেখা করেন এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি সালাম মূর্শেদী আরও বলেন, ‘সা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি অসা¤প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। আমাদের এই দেশে মাঝেমধ্যে সা¤প্রদায়িক বিষবাষ্প মাথাচাড়া দিয়ে প্রভাব ফেলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমাদের এই অসা¤প্রদায়িকতা, এই অপশক্তিকে সব সময় দমন করেছে। এখনো একটি সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী আমাদের এই দেশকে, আমাদের সমাজকে হেয় করার চেষ্টা করে।’
সা¤প্রদায়িক অপশক্তির স্থান বাংলাদেশে হতে পারে না উল্লেখ করে এমপি সালাম মূর্শেদী বলেন, আমাদের এই সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি এবং সম্মিলিত শক্তির কাছে তারা অতীতে যেমন পরাভূত হয়েছে, তেমনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও পরাভূত হবে। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। সব ধর্মের মানুষের মিলিত রক্ত¯্রােতের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সা¤প্রদায়িক অপশক্তির স্থান বাংলাদেশে হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, যারা এই ভাংচুর করেছে ইতিমধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে এবং যে সকল স্থানে ভাংচুর করা হয়েছে, আমি আমার নিজ অর্থায়নে মেরামতের ব্যবস্থা করে দিবো।
এছাড়াও ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানে রূপসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশাকে আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহাবুব হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা।
রূপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাছনিম এর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফ ম আ. সালাম এর পরিচালনায় বক্তৃতা করেন জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যপক আশারাফুজ্জামান বাবুল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার শেখ আরিফুর রহমান, শিক্ষক ধীমান মালাকার, ইদ্রিস ফরাজি, হিল্লোল মূখার্জি, শাখায়াত হোসেন মোল্লা, মিনা জিন্নাত আলী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, মোতালেব হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, শারাফাত হোসেন মুক্তি, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইসহাক সরদার, সাধন অধিকারী, দ্বীন ইসলাম,আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব মল্লিক বাবু, মোরশেদুল আলম বাবু, আ. মজিদ ফকির, ইমদাদুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু, এস এম হাবিব, বাছিতুল হাবিব প্রিন্স, এবিএম কামরুজ্জামান, স ম জাহাঙ্গির, ওয়াহিদুজ্জামান মিজান, আজমল ফকির, সুব্রত বাগচী, রাজিব দাস, রিনা পারভিন, রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, বিনয় হালদার, নোমান ওসমানী রিচি, সামছুল আলম বাবু, ফরিদ শেখ, হামিম মোল্লা, সোহেল, রুবেল সরদার, বিকে খান, ডালিম শেখ, শেখ আসাদুজ্জামানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ।