বনানীর সিদ্দিক মুন্সি হত্যা : আরেক হত্যাকারী গ্রেফতার

0
501

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর বনানীতে বহুল আলোচিত রিক্রুইটিং এজেন্সির মালিক সিদ্দিক মুন্সি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী নূর আমিন ওরফে নূরাকে (২৭) গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তরের গুলশান জোনাল টিম। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য নূরাকে সকালে আদালতে হাজির করা হবে।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী ডিবি উত্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. গোলাম সাকলায়েন জাগো নিউজকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে বনানীর ৪ নম্বর রোডের বি-ব্লকের ১১৩ নম্বর বাড়ির এমএস মুন্সি ওভারসিজ (রিক্রুটিং এজেন্সি) প্রতিষ্ঠানের মালিক সিদ্দিক হোসেন মুন্সিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বানানী থানায় নিহতের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এডিসি মো. গোলাম সাকলায়েন বলেন, গ্রেফতারকৃত নূর আমিন ওরফে নূরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আরিফ, নূরী, শরীফ, পিচ্চি আলামিনের সহযোগী হিসেবে অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি এবং গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল।

তিনি জানান, ওই হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের চারজনের ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায়, এ ঘটনায় অংশগ্রহণকারী মোট সাতজন। এদের মধ্যে নূরী, শরীফ, সাদ্দাম ও আরিফ রুমের ভেতরে ঢুকে গুলি করে এবং রুমের গেটে পিচ্চি আলামিন এবং নূরা অবস্থান করে। কিলিং মিশনে নূরার দায়িত্ব ছিল ভেতর থেকে সবাই বেরিয়ে যাওয়ার পর বিল্ডিংয়ের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়া। এ উদ্দেশে সে ওই সময় শেকল এবং তালা সঙ্গে নিয়ে মিশনে অংশ নিয়েছিল।

বনানীর সিদ্দিক মুন্সি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন বিভিন্ন সময় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকি দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

ডিবির তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে চাঁদা আদায়ই ছিল মূল উদ্দেশ্য যার নির্দেশদাতা সুইডেন প্রবাসী পলাতক যুবদল ক্যাডার নাহিদ।

গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ এর উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মশিউর রহমানের নির্দেশনায় ও এডিসি মো. শাহজাহানের তত্ত্বাবধানে অভিযানটি পরিচালিত হয়।