বটিয়াঘাটার বিভিন্ন নদীতে মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতায় মাছ ধরা অব্যাহৃত

0
151

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি:
মৎস্য দপ্তর কতৃক ৬৫ দিন ধরে নদীতে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও বটিয়াঘাটা উপজেলায় তা মানা হচ্ছেনা। মৎস্য অফিসের কিছু দালালের কারণে সরকারের সে উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। ঐ সকল দালালরা মৎস্য অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে জেলেদের কাছ থেকে গোপনে গোপনে টাকা নিয়ে বিভিন্ন নদীতে মাছের পোনা ধরা অব্যাহৃত রেখেছেন। তার ধারাবাহিকতায় উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ভদ্রা নদীতে অবাধে জেলেরা নেট জাল দিয়ে মাছ ধরছে।

এলাকা বাসীর অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে নিয়োজিত অনিমেষ শীল নামক জনৈক ব্যক্তি গত কয়দিন আগে বারোয়াড়িয়া এলাকায় আসে এসময় স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ীর মাধ্যমে স্থানীয় জেলেদের নিয়ে এক বৈঠকের পর দফারফার মাধ্যমে গতপরশু থেকে আবার মাছধরা শুরু হয়েছে। সুত্রে জানাগেছে, জেলেদের কাছ থেকে উঠানো টাকা ঐ রেনু পোনা ব্যবসায়িসহ মৎস্য অফিসের এসও এবং স্থানীয় প্রশাসনদের ম্যানেজ করে মাছের পোনা ধরা চলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, অনিমেষ ও দেবাশীষ এর মৎস্য দুর্নিতীর কারণে অত্র এলাকায় মৎস্য দপ্তরের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। শুধু তাই নয় বটিয়াঘাটার মৎস্য কার্ডে স্থান পেয়েছে পাইকগাছা উপজেলার জেলে।

অন্যদিকে অনিমেষ এবং দেবাশীষ মিলে মৎস্য দপ্তরের কোন সুযোগ সুবিধা আসলে সুরখালী এলাকায় কিছু বিশেষ বিশেষ ব্যাক্তির বাড়িতে বসে তালিকা করে চলে যায়। এজন্য প্রকৃত মৎস্য চাষিরা বাদ পড়ে যায়। টাকার বিনিময়ে নেট দিয়ে মাছ ধরতে দেওয়ায় উপজেলা মৎস্য সম্পদ রক্ষা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এবিষয় অনিমেষ এবং দেবাশীষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল মামুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সুরখালী ইউনিয়নে তাদের অস্থায়ী কর্মি আছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।

খুলনা টাইমস/এমআইআর