ফিফটি ‘ম্যাটার করে না’ মাহমুদউল্লাহর কাছে

0
279

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: দুই ফিফটির মাঝে দুই ডজন ইনিংসের বিরতি। তার মানের একজনের জন্য বেশ দীর্ঘ খরাই বটে। তবে পরিসংখ্যানের এই ছবিতে মোটেও অস্বস্তি নেই মাহমুদউল্লাহর। কার্যকর ইনিংস তিনি এই সময়েও বেশ কটি খেলেছেন। তার তৃপ্তির জায়গা সেখানেই, দলের জয়ে অবদান রাখা। নিজের রান তাতে যতোই কম হোক বা বেশি।
ত্রিদেশীয় সিরিজে বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে ৪১ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। পাঁচ নম্বরে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
এই ইনিংসের আগে তার সবশেষ টি-টোয়েন্টি ফিফটি ছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে, নেপিয়ারে।
মাঝের এই সময়টায় দারুণ কিছু ইনিংস তার ব্যাট থেকে এসেছে বটে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাকিব আল হাসানের ইনজুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দুই ম্যাচে করেছিলেন ৩১ বলে ৪৩ ও ৩১ বলে ৪১। মার্চে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ম্মরণীয় সেই জয়ে করেছিলেন ১৮ বলে অপরাজিত ৪৩।
গত বছরের অগাস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজ হারানোর ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ২০ বলে ৩২ রান করে। ডিসেম্বরে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২১ বলে ৪৩ রানের দারুণ ইনিংস।
সব মিলিয়ে ফিফটিবিহীন ওই ২৪ ইনিংসে ৬ বার তিনি পেরিয়েছেন ৪০ রান, আরও ৪ বার পেরিয়েছেন ২৫।
ফিফটি খরায় নিজের ঘাটতি বা ভুল তো ছিলই। পাশাপাশি কখনও তার ব্যাটিং পজিশনের কারণে, কখনও দলের চাওয়া মেটাতে গিয়ে যাওয়া হয়নি পঞ্চাশ পর্যন্ত।
মাহমুদউল্লাহর কাছে তাই সংখ্যার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা। ম্যাচ সেরা পারফরম্যান্সের পর বললেন, দলের জয়ে অবদানের কথাই।
“ফিফটি রান আমার কাছে ম্যাটার করে না। ম্যাটার করে দল জিতেছে কিনা। আমি সব সময় দলের জন্য খেলি, দলের জয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করি। ব্যক্তিগত মাইলফলক আমার কাছেৃআমার মনে হয় না, আমাদের কেউই এভাবে চিন্তা করে। কারণ, টি-টোয়েন্টি খেলাটাই এমন, অনেক সময় ১০ কিংবা ২০ রান করেই ম্যাচ জেতানো যায়। আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন, তখন ওই ইনিংসই মূল্যবান।”
বুধবার মাহমুদউল্লাহ যখন নেমেছিলেন, ভালো শুরুর পর তখন একটু চাপে দল। মাত্রই আউট হলেন সাকিব আল হাসান। ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও দলের রান তখন ৩ উইকেটে ৬৫। মাহমুদউল্লাহ উইকেটে গিয়ে প্রথম বলেই রায়ান বার্লকে ছক্কায় ওড়ালেন দারুণ শটে!
ম্যাচের পর জানালেন, বোলারকে চাপ ফিরিয়ে দেওয়ার ভাবনা নিয়েই তিনি গিয়েছিলেন উইকেটে।
“ইনটেন্ট ছিলৃ ড্রেসিংরুমে যখন আমি ছিলাম, তখন এমন পরিকল্পনা ছিল। ঠিক করেছিলাম, সুযোগ পেলে প্রথম বলেই চান্স নিব। কারণ আমার মনে হয়, বোলার এমন কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমি তাই পাল্টা আক্রমণ করার চিন্তা করছিলাম।”
পরে ছক্কা মেরেই তিনি ছুঁয়েছিলেন ফিফটি। ৫ ছক্কায় ছুঁয়েছেন ব্যক্তিগত ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড।