ফকিরহাটে কুকুরে কামড়ানো গরুর দুধ পান করে হাসপাতালে ৯০ জন

0
470

ফকিরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের ফকিরহাটে কুকুরে কামড়ানো (জলাতঙ্ক আক্রান্ত) গরুর দুধ পানে অসুস্থ্য হওয়ার ভয়ে একটি গ্রামের নারী শিশুসহ অন্তত ৯০ জন বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বৃহষ্পতিবার দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলি গ্রামের ওই ব্যাক্তিরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। তাদের কুকুরে কামড়ানো প্রতিষেধক ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলছেন এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। ভ্যাকসিন নিলেই জলাতঙ্ক কেটে যাবে।
উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফোরকান শিকারী জানান, ফকিরহাটের চাকুলি গ্রামের বেল্লাল শেখের পোষা গরুর দুধ ওই গ্রামের প্রায় দশটি পরিবার নিয়মিত পান করে আসছে। ওই দশটি পরিবারে সদস্য সংখ্যা একশ জনের উপরে। কয়েকদিন আগে ওই গরুটিকে কুকুরে কামড়ালে গরুটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারা না জেনে ওই কুকুরে কামড়ানো গরুর দুধ পান করতে থাকে। বৃহষ্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হলে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা তাদের জলাতঙ্ক হতে পারে বলে আতংকিত হয়ে হয়ে পড়ে। তারা এই বিষয়টি আমাকে জানালে আমি প্রায় ৯০ জনকে চিকিৎসার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
গরুর মালিক বেল্লাল শেখ বলেন, আমার এই গাভীর থেকে হওয়া দুধ চাকলি গ্রামের দশটি পরিবারকে দিয়ে থাকি। বুধবার আমার পোষা গুরুটি গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমি প্রাণী চিকিৎসককে ডেকে গরুটিকে দেখাই। তিনি গরুটি দেখে বলে তাকে কুকুরে কামড়েছে বলে নিশ্চিত হন। তবে কবে কখন গোয়ালে থাকা গুরুটিকে কুকুরে কামড়েছে তা বলতে পারবনা। বুধবারও আমি এই গরুর দুধ আমার যোগানদাতাদের মাঝে সরবরাহ করি। আমি নিজেও প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিয়েছি। এ ব্যাপারে বেতাগা ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন দাশের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন বিষয়টি আমি জেনেছি। কুকুরে কামড়ানো গরুর দুধ যারা পান করেছে তারা সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে গেছে।

এ ব্যাপারে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ অরুন চন্দ্র মন্ডল বলেন, কুকুরে কামড়ানো গরুর দুধ পান করলে জলাতঙ্ক রোগ হবে এমনটা মনে করা যাবে না। কারণ দুখতো ফুটিয়ে পান করা হয়। তারপরও অসুস্থ হওয়ার আশংকায় শিশু নারীসহ প্রায় ৯০ জন হাসপাতালে আসে। আমরা তাদের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন দিয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে চারটি ভ্যাকসিন নিলেই তারা পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে যাবে। এতে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওই চিকিৎসা কর্মকর্তা।