প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা শরণখোলা ছাত্রলীগের আহবায়ক হাসান

0
287

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস: শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. হাসান মীর দুরারোগ্য লিভার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে নির্মম নির্যাতন আর হামলা-মামলার শিকার রাজপথের এই লড়াকু সৈনিক এখন নিস্তব্ধ-নিথর হয়ে পড়ে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যালের (বিএসএমএমইউ) বেডে। তার পাশে পরিবার ছাড়া এখন আর কেউ নেই। পরিবারের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসাব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই ছাত্রলীগ নেতা হাসানকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগীতা চেয়েছে তার অসহায় পরিবার।
শরণখোলা উপজেলা ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. নাছির উদ্দিন মীরের ছেলে হাসান মীর। স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। দলকে সুসংগঠিত করে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছেন। সেই সময়ে বহুবার হামলার শিকার হতে হয়েছে তাকে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুকে ব্যাথা নিয়ে গেল নভেম্বর মাসে হাসান ভারতে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে চিকিৎসায় বহু টাকা ব্যয় করে ১৩ ডিসেম্বর ফিরে আসার করেয়ক দিন পর শারিরীক অবস্থার আরো অবনতি ঘটায় ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা ল্যাব এইডে ভর্তি করা হয়। ব্যয়বহুল হওয়ায় সেখান থেকে ৩০ ডিসেম্বর নিয়ে যাওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানের পঞ্চম তলার ডি-ব্লকের ১৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ছাত্রলীগের আহবায়ক হাসান মীর।
ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা হাসানের বাবা মো. নাছির উদ্দিন মীর জানান, এ পর্যন্ত হাসানের চিকিৎসায় প্রায় ১৫লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন তার পক্ষে চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। টাকার অভাবে ধীরে ধীরে ছেলেটি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। দলের জন্য জীবন, যৌবন, অর্থ সবই দিয়েছে তার ছেলে। এখন তার পাশে কাউকেই পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই ছেলেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সহযোগীতা চেয়েছেন হাসানের অসহায় বাবা।
উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম জীবন ও খায়রুল ইসলাম শরীফ জানান, ছাত্রলীগের আহবায়ক হাসান মীরের চিকিৎসায় তহবীল গঠনের চেষ্টা চলছে।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, দলের জন্য হাসানকে বিএনপি-জামায়াতের নির্মম নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। জীবন-যৌবন দলের জন্য উৎসর্গ করে এখন নিজেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। চিকিৎসাব্যয় বহন করা পরিবারের পক্ষ্যে এখন দুঃসাধ্য। তার চিকিৎসায় এপর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।