প্রতাপনগর মাদরাসায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের আবেদন

0
165

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদরাসায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দ্বারা ও আদালতে মামলা চলমান থাকায় নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধের দাবী জানানো হয়েছে। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতাপনগর ফাজিল মাদরাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নির্বাচন ও গভর্নিং বডি নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক, সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি করে মাদরাসার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে। দ্বিধাগ্রস্ত পরিবেশ থেকে উত্তোরণের জন্য সচেতন ব্যক্তিবর্গ আইন আদালত ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দারস্থ হলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে অবৈধ পন্থায় কার্যক্রম চালানোর চেষ্টার কারণে পরিস্থিতি অবনতিশীল হয়ে পড়েছে। মাদরাসার অধ্যক্ষের পদ শূণ্য হলে জ্যেষ্ঠতার বিধান অমান্য করে ৭ম স্তরের শিক্ষক শহিদুল্যাহকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় ১/১১/২০১৭ খ্রিঃ ইআবি/রেজিঃ/প্রশাঃ/২০১৫/৪০৭৩ নং স্মারকে এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘ফাজিল ও কামিল মাদরাসায় কোন কারণে অধ্যক্ষ না থাকলে তদস্থলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ভিন্ন অপর কোন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতে পারবেনা। কোন কারণে উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ অসদাচরণ বলে গন্য হবে। উপাধ্যক্ষ না থাকলে জ্যেষ্ঠতম শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।’ কিন্তু সকল নিয়মনীতিকে অমান্য করে জ্যেষ্ঠতার দিক দিয়ে ৭ম স্তরের শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করা হয়। হাফেজ মোয়াজ্জাজ হাসান ও মোস্তফা হেলালুজ্জামান বাদী হয়ে সহকারী জজ আদালত আশাশুনিতে ১১৮/১৭ নং মামলা করেন। ১নং বিবাদীর মৃত্যুর পর মামলা খারিজ হয়ে গেলে, অপর বাদী মোস্তফা হেলালুজ্জামান ৪/১০/২০ তাং মামলা রিভিউ করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান আছে। কিন্তু উক্ত কমিটি নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন। এনিয়ে চরম উত্তেজনা শুরু হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ও মাদরাসার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও সকলকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাখতে ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওঃ জি এম মেহরুল্লাহ ১৩/১০/২০ তাং মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার আবেদন করেন। এদিকে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২১/১১/২০ তাং। ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬/৭/২০ তারিখের অফিস আদেশে “যে সকল মাদরাসায় এডহক কমিটি/গভর্নিং বডি সম্পর্কিত মামলা চলমান অথবা আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাদের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির আদেশ প্রযোজ্য হবেনা” মর্মে নির্দেশ থাকলেও কমিটি আদেশ অমান্য করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এমন কি অধ্যক্ষের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকলেও সে পদে নিয়োগ না দিয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ দানের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। জি এম মেহরুল্লাহ বলেন, মামলা চলমান, মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বন্ধের আবেদন, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া- এতকিছুর পরও পুনরায় নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা অনৈতিক বই কিছুই নয়। আমরা এহেন অনৈতিক কার্যক্রম প্রতিরোধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শহিদুল্লাহর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম করা হচ্ছেনা। মামলা খারিজ হয়েগেছে।