প্রতাপনগরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের প্রতিকারের দাবীতে মানববন্ধন

0
223

আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঘটনার প্রতিকারের দাবীতে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে প্রতাপনগর তালতলা বাজার সড়কে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সরকারি ও বিদ্যুৎ বিভাগের নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় জামায়াত কর্মী ও বর্তমানে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল বারিকের শাস্তির দাবীতে দীর্ঘ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, তালতলা বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিলন হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন, যুবলীগ নেতা সামাদ মহলদার প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় প্রতাপনগরে নতুন বিদ্যুৎ লাইনের কাজ চলছে। এসুযোগে জন প্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি আব্দুল বারিক সাধারণ নিরীহ মানুষকে বোকা বানিয়ে গ্রাহক বা মিটার প্রতি ২২০০/- টাকা, (যাদের পূর্বে ৫০০/- দেওয়া আছে তাদের থেকে ১৭০০/- টাকা) হারে উত্তোলণ করে চলেছেন। ইতিমধ্যে শতশত গ্রাহকের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। যে সব গ্রাহক অতিরিক্ত টাকা দেয়নি তারা বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করলে তাঁর মিটার হবে না বলেও ছাপ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার দৃঢ় অঙ্গিকারে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিদ্যুৎখাতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে। এজন্য এই খাতে কোন ধরণের অন্যায় অনিয়ম এ সরকার সহ্য করবেন না বলেও উর্দ্ধতন মহলে বলা হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গ্রাহকদের সুবিধার জন্য মাত্র ৪৫০/- টাকা জামানতে বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগ দেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। এই ৪৫০/- টাকাও কিন্তু সরকার পুরোপুরি নিচ্ছেনা শুধুমাত্র মিটার বাবদ জামানতের জন্য রাখা হয়। কিন্তু প্রতাপনগর গ্রামের মৃত শফিউদ্দীন গাজীর ছেলে আব্দুল বারিক একই গ্রামের আব্দুল বারী, আব্দুল হামিদ, ডাঃ মনি, ইউনুস আলী, শফিকুল, মফিজুল, আছাদুল, হাফিজুল, শহিদুল্লাহ, ইসমাইল, গফ্ফার, রফিকুল, ছিদ্দিক, সোবহান, আঃ মাজেদ, আঃ মালেক, বদরুজ্জামান, নুরুজ্জামানসহ দু’ সহস্রাধিক মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ৫ শত মিটার লাগানো হয়েছে। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা হলেও এখনো কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এলাকাবাসী হতাশ হয়ে পড়েছেন। বক্তারা পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার আশু হস্তপেক্ষ কামনা করেছেন।