পাটকেলঘাটার পোল্ট্রি খামার স্থানান্তর করাকে কেন্দ্র করে ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

0
172

পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি:
পাটকেলঘাটার চৌগাছা গ্রামে ভূয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখিয়ে আবাসিক এলাকায় পোল্ট্রি ব্যবসা। এলাকার ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দূর্গন্ধ, শব্দ দূষনে উক্ত এলাকায় বসাবাস করতে নাভিশ্বাস উঠার উপক্রম হয়েছে। চৌগাছা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শেখ ময়েন উদ্দীনের পুত্র মনজুর হাসান চঞ্চল বেশ কয়েকটি দপ্তরে আবাসিক এলাকায় পোল্ট্রি ব্যবসা না করার জন্য আবেদন করেও কোন সুরহা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অফিসার ডাক্তার সঞ্জয় বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে আবাসিক এলাকায় পোল্ট্রির দূর্গন্ধ ও শব্দ দূষনের অভিযোগে পোল্ট্রি খামার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য লিখিত ভাবে আদেশ দেন। যার স্মারক নং-৩৩.০১.৮৭৯০.০০০.১৮.০০১.২০.১১৩। তারেক হোসেন লিখিত অভিযোগের বিষয়ে কর্ণপাত না করে অদৃশ্য ক্ষমতায় বহাল তবিয়তে থাকে। কিছুদিন পরে তালা উপজেলা সহকারী (ভূমি) খন্দকার রবিউল ইসলাম অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে একটি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে উক্ত পোল্ট্রি ব্যবসার মালিক চৌগাছা গ্রামের শেখ আশরাফ উদ্দীনের ছেলে তারেক হোসেনকে ৬ দিনের সময় দেন উক্ত আবাসিক এলাকা থেকে তার পোল্ট্রি প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন। পরবর্তিতে সু-চতুর পোল্ট্রি খামারী ভূয়া পরিবেশের ছাড়পত্র দেখিয়ে উল্টো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেওয়ানী আদালতে মামলা করেন মামলা নং-৪৭/২০। তাং-২০/০৮/২০। অপর দিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও আবেদনের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম স্মারক নং-২২.০২.৪০৮৭.৩০১.১৮.০০৩.১৯-৮৪ তে লিখিতভাবে যাচাই বাছাইয়ের পরে জানান তারেক হোসেন আব্দুল্লাহ পোল্ট্রি ফার্মের নামে খুলনা থেকে হাতে লেখা যে ছাড়পত্রটি জমা দিয়েছে সেটি সঠিক না সম্পূর্ণ জালিয়াতি। এলাকাবাসীর অভিযোগ যাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে উক্ত আবাসিক এলাকা থেকে পোল্ট্রি ফার্ম সরিয়ে মিথ্যা সরকারী কর্মকর্তাদের হয়রানি মূলক মামলার উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।