পাইকগাছায় ১শ’৪৯ টি মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

0
119
প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।

পাইকগাছা প্রতিনিধি : শারদীয় দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে খুলনার পাইকগাছার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের ১৪৯টি মন্ডপে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজার। মূর্তি তৈরীর পাশাপাশি সনাতনীদের মধ্যে শুরু হয়েছে পূজার সার্বিক প্রস্তুতি।

ভয়াবহ করোনা মহামারীতে গত বছর অনাড়ম্বর পরিবেশে পূজার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে ছিল সীমাবদ্ধতা। তবে এবার করোনায় সংকট থাকলেও ভয়াবহতা নেই। তাই খানিকটা হলেও স্বাস্থ্যবিধির বাইরে এসে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে সবখানে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দূর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটে মর্ত্যলোকে। এমনটিই বিশ্বাস সনাতনীদের।

এদিকে দূর্গোৎসব সনাতনীদের সর্ববৃহৎ উৎসব হলেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জনপদে সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এ উৎসব। পূজায় শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার বা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া সবখানে থাকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সরব উপস্থিতি। সনাতনীদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছেলে-মেয়েরাও পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শনে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে। সে কারণে নতুন পোশাক কেনা থেকে শুরু করে উৎসব কেন্দ্রিক মেলা পরিণত হয় বাঙালির উৎসবে।

সারাদেশের ন্যায় এবারে পাইকগাছা পৌরসভা সহ ১০টি ইউনিয়নে সর্বোমোট ১৪৯টি পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। এরমধ্যে পৌরসভায় ৬টি, হরিঢালী ইউনিয়নে ১৯টি, কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৮টি, লতা ইউনিয়নে ১০টি, দেলুটি ইউনিয়নে ১৩টি, সোলাদানা ইউনিয়নে ১৪টি, লস্কর ইউনিয়নে ১৭টি, গদাইপুর ইউনিয়নে ৫টি, রাড়ুলী ইউনিয়নে ২১টি, চাঁদখালী ইউনিয়নে ১৩টি ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১৩টি সহ সর্বোমোট ১৪৯টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গাপূজা।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস জানান, ভয়াবহ করোনা মহামারীতে গত বছর অনাড়ম্বর পরিবেশে পূজার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে ছিল সীমাবদ্ধতা। তবে এবার করোনায় সংকট থাকলেও ভয়াবহতা নেই। তাই খানিকটা হলেও স্বাস্থ্যবিধির বাইরে এসে উৎসব পালনের প্রস্তুতি চলছে সবখানেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জনপদে পূর্বের ন্যায় সুষ্ঠ-সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি সকলেই যাতে পূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে ব্যাপারে প্রত্যেকটি মন্ডপ পরিচালনা কমিটিকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় থাকবে বলেও জানান তিনি।