পাইকগাছায় ব্যবসায়ী ঝন্টু’র বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়া হয়ে মালিক সাজার চেষ্টার অভিযোগ

0
344

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় কপিলমুনির ইতিহাসে এই প্রথম ভুয়া তথ্য দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ভাড়াটিয়া হয়ে মালিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কাপড় ব্যবসায়ী বিপ্রদেব নাথ ঝন্টুর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গোটা এলাকায় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক মহলসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে মূল মালিকের নামে ঝন্টু গংরা মিথ্যা ১৪৪ধারার মামলা ও মিথ্যা খুন জখমের অভিযোগ তুলে সরকারি সম্পত্তি গ্রাস করার অভিযোগ তুলেছেন কপিলমুনি ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন। হরিঢালীি উত্তর সলুয়ার গ্রামের ও কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাজমুছ শাহাদৎ সিদ্দিকী জানান,নাছিরপুর মৌজার এস,এ ২৫৫/৫নং খতিয়ানে ৪৩২নং দাগে দোকান শ্রেনীতে ০.০৩শতক জমি এক আনা অংশে আমাদের নামে রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৫-৮৬সালে সরকার এ সম্পত্তি ১নং খাস খতিয়ানে নিয়ে পেরিফেরি ভুক্ত করলে সেই থেকে এ পর্যন্ত সরকারের রাজস্ব দিয়ে ডিসিআর কেটে ভোগ দখলে আছি। ইতিমধ্যে কপিলমুনি বাজারের মা বস্ত্রালয়ের মালিক তালা গঙ্গারামপুরের মৃত বসন্ত দেবনাথের ছেলে বিপ্রদাস ঝন্টু ৭বছর মেয়াদী ভাড়া চুক্তিতে ব্যবসা করে আসছিল। এরপর গত ২৬/০৬/১৮তারিখে খুলনা জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে দোকান ঘর সংস্কার করি। তিনি আরও অভিযোগ করেন চলতি বছরে আমাদের ঘর ছেড়ে দিতে বললে ব্যবসায়ী ঝন্টু কৌশলে জেলা প্রশাসক বরাবর ডিসিআর আবেদন করে আমার পরিবারসহ ব্যবসায়ী অসিত কুমার দে ও রতন কুমার দে এর নামে ২২৩/১৯এম আর মামলা করলে আদালত কপিলমুনি সহকারী ভুমি কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুমি কর্মকর্তা জাকির হোসেন ০২/১০/১৯ তারিখে সরেজমিনে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন ঝন্টু ভাড়াটিয়া হয়ে মুল মালিককে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করে। যাহা জানতে পেরে চেয়ারম্যান কওছার আলি জোয়ার্দ্দার ১১.১০.১৯ তারিখে ২০১৯/২৩নং স্মারকে ভুয়া অর্নব বস্ত্রালয়ের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করেন। সরকারের এদিকে ঝন্টু’র দায়ের করা এমআর মামলায় গতকাল আদালতে দু’পক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানীতে ঝন্টুর আইনজীবী আদালতে বলেন, সরকারি সম্পত্তি দখলে থাকায় আমার মক্কেল দাবী করেছে। বিজ্ঞ বিচারক উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না আগামী ৬ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে রায়ের দিন ধার্য্য করেন।