পাইকগাছার শাপলা ক্লিনিক সিলগালা

0
174

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসদরে অবস্থিত শাপলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ফের আবু সুফিয়ান (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে ক্লিনিকটি সিলগালা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। শনিবার (১৯ জুন) সকালে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় স্বজনরা শিশুটির লাশ নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় স্থানীয়রাও বিক্ষুব্ধদের পাশে এসে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে থানা পুলিশ অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্লিনিকের বৈধ কাগজ-পত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হন। এসময় তিনি ক্লিনিকটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালার নির্দেশ দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানকার পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
ঘটনার শিকার শিশুর স্বজনসহ স্থানীয়রা জানান, শিশু মোঃ আবু সুফিয়ান দাকোপের গড়ইখালী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। পেটে ব্যাথার সমস্যা নিয়ে সুফিয়ানকে শুক্রবার সকালে ক্লিনিকটিতে নেয়া হয়। এসময় সেখানকার ডাক্তার বলেন, তার অ্যাপেন্ডিস হয়েছে। জরুরী অপারেশন করাতে হবে। এরপর তাকে অপারেশন করাতে ঐদিন সকাল ৯ টার দিকে ভর্তি করান। বিকেল ৫ টার দিকে জনৈক ডাক্তার ফারুক এসে তাকে অপারেশন করলেও আর হুশ বা জ্ঞান ফেরেনি তার। শিশুটির পিতা আব্দুস সালাম জানান, সারা রাতেও তার জ্ঞান না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এসময় তারা ক্লিনিকের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা তাড়া-হুড়ো করে তাকে খুলনায় পাঠানাের ব্যবস্থা করে। তৎক্ষনিক ছেলেটি মারা যায়। এরপরও তারা মৃত অবস্থায় তাকে গাড়িতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা বুঝতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে বাঁধা দেয়। ঘটনার পর থেকে মৃত ছেলেকে নিয়ে তার স্বজনরা ক্লিনিকের পাশে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন তারা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এরপর পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম খাইলদ হোসেন সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্লিনিকের কোন বৈধ কাগজ-পত্র নাপেয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিকটি সিলগালার নির্দেশ দেন।

এসব বিষয়ে জানতে শাপলা ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী তাপস কুমার মন্ডলের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পাইকগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেল বলেন, ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষে এখনো থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।

খুলনা টাইমস/এমআইআর