পরীমণির পাশে দাঁড়ালেন সহকর্মীরা

0
176

বিনোদন ডেস্ক:

রোববার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মর্মান্তিক এক ঘটনার স্ট্যাটাস দেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। জানান, তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। এদিন রাতেই সংবাদসম্মেলনে বিচার ও নিজেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতাও কামনা করেন অশ্রুসজল এ তারকা। যা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো দেশ। সহকর্মীর ওপর এমন নির্যাতনে শিল্পীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন তার। অনেকে ফেসবুকে জানিয়েছেন নানা মতামত। সেগুলোই থাকছে এ আয়োজনে-
ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর (অভিনেত্রী)
আমরা কোথায় আছি! এ কোনও দেশে আমরা বাস করছি। স্বনামধন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির সাথে যে অন্যায় হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
নারীর প্রতি কোনও সহিংসতা ও অত্যাচার সহ্য করবো না, মানবো না।
দেবাশীষ বিশ্বাস (নির্মাতা)
আমার মামনি’র (পরীমণি) জন্য বিচার চাই!
সাইদ হাসান টিপু (সংগীতশিল্পী)
নগদ অ্যাকাউন্ট খুলসি একটা- পরীমণি কেন গেসিলো আর তার কী কী দোষ ছিল- এইসব যাদের মনে হয় তারা আমার লিস্টে থাকলে বিদায় নেন তাড়াতাড়ি। নগদে ব্লক খাইবেন; এই ধরনের পোষ্ট আমার টাইমলাইনে দেখলে।
শাওন মাহমুদ (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব)
মুহূর্তের জন্য হতাশ হই তখন, যখন দেখি আমার পরিচিত একজন সভ্য, সুশিক্ষিতা, ঢাকা ক্লাব ও আওয়ামী লীগ উপকমিটির সদস্য ইনিয়েবিনিয়ে ক্লাবের কোড অব কন্ডাক্টের সাথে পরীমণি যা বলছেন, তাতে অমিল খুঁজে পান। এবং তিনি একজন নারী হয়েও তার কন্যাসন্তান থাকবার পরও পরীমণিকে দোষারোপ করবার পন্থা খুঁজে খুঁজে বের করেন। তথাকথিত সভ্যরা যখন অসভ্যতা শুরু করে তখন তারা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য মনে করে।
সেই মুহূর্তের হতাশা কেটে যায় যখন শুনি পরীমণি ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি মাথা উঁচু এবং মেরুদ- সোজা রেখে এই মামলার শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবেন। এক পা পেঁচাবেন না। পিশাচেরা নিপাত যাক, মানুষের জয় হোক।
মোস্তাফিজুর রহমান মানিক (নির্মাতা)
একজন মানুষের সাথে এমন অসভ্যতার তীব্র নিন্দা জানাই। একজন নারীর সাথে এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। চলচ্চিত্র পরিবারের একজনের সাথে এমন ব্যবহারের তীব্র ঘৃণা জানাই। পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা প্রচেষ্টার বিচার চাই।
কোনাল (গায়িকা)
আমরা যে কোনও কিছুতেই হাসি! কেউ ধর্ষিত হলেও হাসি, কেউ মরে গেলেও হাসি, কেউ কান্না করছে তা দেখেও হাসি, কেউ কষ্ট পাচ্ছে তা দেখেও হাসি। হাসাহাসি খুবই ভালো ব্যাপার। কিন্তু আপনার আমার এই স্বার্থপরতার হাসিটা বোধহয় আসে নিজের অক্ষমতা, নিজের ব্যর্থতা থেকে।
মানে আমি যে একজন লুজার, তা ঢাকতে জোরে জোরে হাসতে থাকবো আরেকজনের দিকে আঙুল তুলে। এটাই শ্রেষ্ঠ উপায় নিজেকে বাঁচানোর। ব্রাভো!
পরিমণির এই আর্তনাদ, এই কান্না দেখে, ‘রেইপ’ এবং ‘আত্মহত্যার’ মতো এক্সট্রিম অনুভূতির কথা শুনেও যারা হাসেন, অভিবাদন আপনাদের। আপনি একজন সফল লুজার!
আশা করছি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পরীর পাশে দাঁড়াবে। সঠিক বিচার পাবেন পরী। আবার সেই প্রাণোচ্ছল, প্রাণচঞ্চল সুন্দর পরীকে আমরা পর্দায় দেখব।
কায়েস আরজু (চিত্রনায়ক)
আমার বন্ধুর (পরীমণি) ওপর অন্যায়ের বিচার চাই।
অপরাধী যেই হোক যত বড়ই হোক, তার বিচার হতেই হবে। অনেকে যা পারেন না পরিমণি তার প্রতিবাদ করে দেখিয়েছে। আর প্রতিবাদ নয়, এখন প্রয়োজন কঠিন প্রতিরোধ!

খুলনা টাইমস/এমআইআর