নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বাড়িয়ে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে, মানববন্ধনে খুলনার ঠিকাদার নেতৃবৃন্দ

0
201

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্মাণসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিও সরকারি নির্মাণ কাজের দরপত্র বাজারদর সমন্বয় করার দাবিতে খুলনার সকল সংস্থার নির্মাণ ঠিকাদারবৃন্দ মানবন্ধন করেছে। রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পিকচার প্যালেস চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ দাউদ হায়দারের সভাপতিত্বে ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ তসলিম আহমেদ আশা , শেখ মোঃ আবু হানিফ, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আশরাফ হোসেন, কামরুল,করিম বাবু, মোঃ বাচ্চু মোড়ল, রফিকুল ইসলাম বাপ্পী, মাসুদুর রহমান বিশ্বাস সরোয়ার জাহান গহন, মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বাবলু, এম এ সবুর, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ বেলায়েত হোসেন, রেহানা গাজী শেখ হায়দার আলী, মোঃ নাসির উদ্দিন বাদসা রাসু, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ মোক্তার হোসেন সহ বিভিন্ন সংস্থার ঠিকাদারবৃন্দ।

মানববন্ধনে গণপূর্ত অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশলী, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনসাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তর, খুলনা জেলা পরিষদসহ খুলনার সমস্ত সংস্থা ঠিকাদার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেন হঠাৎ করে নির্মাণ সামগ্রী ইট , সিমেন্ট, রড , অ্যাঙ্গেল প্লেট, বিটুমিন, পাথর, ইলেকট্রিক, সেনেটারী সামগ্রীর মূল্য প্রকারভেদে ২৫ থেকে ৩০ পার্সেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় বক্তারা নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যে উর্ধ্বগতির কারণে সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। সেই সাথে সকল ঠিকাদার বৃন্দ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাই চলমান কাজ বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোনো বিকল্প কিছু নেই বলে জানান।
এ সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যের বাজার দরের সঙ্গে টেন্ডারের দরপত্রের সমন্বয় করার আহবান জানান। তা না হলে সরকারের এবছরের এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মানববন্ধনে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

মানববন্ধন থেকে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবি সমূহ:- অবিলম্বে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য কমাতে হবে, নতুন রেট শিডিউলে টেন্ডার আহবান করতে হবে, চলমান কাজের বাজারদর সমন্বয় করে দিতে হবে, সমাপ্ত কাজের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে, অর্থ ছাড় দিয়ে টেন্ডার আহবান করতে হবে, কাজ সমাপ্ত শেষে যথাসময়ে বিল পরিশোধ করতে হবে, অতিরিক্ত ২ পার্সেন্ট আয়কর মওকুফ অথবা রেট শিডিউলের সমন্বয় করে দিতে হব, ঠিকাদারী লাইসেন্স এর দ্বৈত ফি নেয়া বন্ধ করতে হবে ( ইজিপি ও সংস্থার), ঠিকাদারদের সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিতকল্পে আইন প্রণয়ন করতে হবে।

উক্ত ৯দফা দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর সোমবার খুলনার সকল সংস্থার প্রধানের নিকট স্মারকলিপি প্রদান এবং আগামী ডিসেম্বরের ১ তারিখ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।