নবীন আইনজীবীদের জন্য ক্রান্তিকালীন ফান্ড গঠনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট বার

0
221

খুলনাটাইমস ডেস্ক : করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে পেশায় ক্ষতিগ্রস্ত আইনজীবীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি (সুপ্রিমকোর্ট বার)। সমিতির সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সুদমুক্ত ঋণ, নবীন আইনজীবীদের প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ লাখ টাকার ফান্ড গঠনসহ ৫ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুপ্রিমকোর্ট বার-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি। বার-এর নবনির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল বাসস্কে শনিবার এ কথা জানান। তিনি বলেন, এ ফান্ড পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে। সুপ্রিমকোর্ট বার এর উন্নয়ন এবং আইনজীবীদের কল্যাণে নবনির্বাচিত কমিটি সম্ভব সব কিছুই করবে। ফান্ডগঠন সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস জনিত কারণে আদালতের অনির্ধারিত বন্ধ এবং দেশ কার্যত লক ডাউনে থাকায় পেশাজীবী হিসাবে আমরা এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পতিত হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণ বন্ধুদের বিষয়টি উদ্বিগ্ন করেছে বেশি। এমন এক অস্বস্থিকর পরিস্থিতিতে, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কার্যকরি কমিটি ১০ এপ্রিল এক অনানুষ্ঠানিক সভায় সমিতির সদস্যদের কল্যাণে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্তসমূহ নিম্নরূপ: ১। সমিতির বিদ্যমান ইবহবাড়ষবহঃ ঋঁহফ খড়ধহ জঁষবং, ২০০১ মোতাবেক কোনও সদস্য শুধুমাত্র ‘চিকিৎসা সুবিধার’ জন্য তার জমাকৃত অর্থের ৯৫% ঋণ হিসাবে নিতে পারেন। আমরা এটিকে শিথীল করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে, একজন আইনজীবী তার জমাকৃত টাকার ৯৫% অথবা ২৫ হাজার টাকা, যে অংকটি কম, সে পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি তিন বছর পর্যন্ত সময় পাবেন এটি পরিশোধ করার জন্য। ২। আমরা জানি ইবহবাড়ষবহঃ ঋঁহফ এর এই সুবিধা অনেক নবীণ আইনজীবী পাবেন না। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা আপাতত ৫০ লাখ টাকার একটি আপদকালীন ফান্ড সৃষ্টির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। একজন সদস্যের আবেদনক্রমে পধংব ঃড় পধংব বিবেচনায় এই ফান্ড থেকে তিন বছরের মধ্যে পরিশোধযোগ্য সুদমুক্ত ঋণের আদলে অর্থ বরাদ্দ করা হবে। ৩। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আইনজীবীদের জন্য বিশেষ অর্থ বরাদ্দ ও সুদমুক্ত ঋণ সুবিধা চেয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দাবি জানানো হবে। ৪। ভারত ও পাকিন্তানের আদলে ঠরৎঃঁধষ ঈড়ঁৎঃ চালুর জন্য প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। ৫। সমিতির সামর্থবান সদস্যদের ঠড়ষঁহঃধৎু পড়হঃৎরনঁঃরড়হ এর মাধ্যমে ‘করোনা উদ্ভূত আইনজীবী সহায়তা ফান্ড’ সৃষ্টিতে সচেষ্ট থাকবো এবং একজন বিজ্ঞ সদস্যের প্রয়োজন মাফিক এই ফান্ড থেকে অনুদান হিসাবে অর্থ দেয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, নতুন কমিটি আগামী ১৩ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করে সিন্ধান্তসমূহ কার্যকর করবে। বিজ্ঞপ্তিতে নবনির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার কাজল বলেন, নির্বাচিত হওয়ার দু’দিনের মাথায় গত ১৫ মার্চ সমিতির সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন এর নেতৃত্বে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে আমাদের এক বছরের কর্ম পরিকল্পনা ঠিক করি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্যারিষ্টার কাজল জানান, আপনারা সকলেই অবগত আছেন, গত ৫ এপ্রিল আমাদের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে, সরকারী ছুটি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং এর ফলশ্রুতিতে এজিএম অনুষ্ঠিত না হওয়ায়, আমরা পূর্বের কমিটির কাছ থেকে এখনো দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারিনি। আমরা আগামী ১৩ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবো বলে আশা করছি। তিনি বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতেও নতুন কমিটি আইনজীবীদের কল্যাণে সমিতির পক্ষ থেকে কি কি করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছে। এ বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট বার এর সাবেক নেতৃত্ব, সিনিয়র আইনজীবীসহ নানা পর্যায়ে পরামর্শ করা হয়েছে । কাজল বলেন, ‘দুঃসময়ে আমরা একে অপরের পাশে থাকবো এটা সকলেই প্রত্যাশা করি। আমরা আমাদের কার্যক্রমে শতভাগ সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে চাই।’