টাইমস ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আগামী বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন।
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা ১০ জানুয়ারির মধ্যেই হয়ে যাবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ের ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল নতুন মন্ত্রীদের শপথ কবে নাগাদ হতে পারে।
জবাবে তিনি বলেন, আশা করি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারির মধ্যে এমপি ও মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাবে। এই নির্বাচনেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০টি আসনে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা।
এই দলের নেতাদের কি এবারও মন্ত্রিসভায় রাখা হবে, না কি তারা সংসদের প্রধান বিরোধী দল হবেন- এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।
ভোটে বাধা দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি-জামায়াত জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্তত ৩১ জন প্রার্থী রোববার ভোট চলাকালেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।
ওই দাবি নাকচ করে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ভোটের পরদিন সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আর নতুন করে নির্বাচনের সুযোগ নেই। ঐক্যফ্রন্ট লিখিত অভিযোগ দিলেও গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা হবে না। রোববারের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, জনগণ যেভাবে ভোট দিয়েছে, সেভাবেই ভোট হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট। আমরা অতৃপ্ত না। গণমাধ্যমের তথ্য ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তথ্য মতে ভোটের গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে; অনিয়মের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।