দেবহাটায় সাঁপমারা খালের ভিতরে নির্মান করছে রড দিয়ে পাকা পিলার

0
769

দেবহাটা প্রতিনিধি : দেবহাটায় সাঁপমারা খালের ভিতর দখল করে নির্মান করছে রডসহ ঢালাইয়ের পাকা পিলার। সরকারের উনিশ লক্ষ টাকার কাজ শেষ হতে না হতেই ভেস্তে দেওয়ার পায়তারা করছে জনতা ফার্মেসীর শর্তাধীকারী দেবু বিশ্বাস। একে কাজ শেষ হওয়ার আগেই পাড়ের মাটির ধ্বসে পুনরায় পুরন হচ্ছে খাল। কাজে দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যে যে টুকু কাজ হচ্ছে তাও বিফলে যাওয়ার উপক্রম এমনটাই বলছে অনেকে। ভেস্তে যেতে বসেছে সরকারের কয়েক কোটি টাকার প্রকল্প। কতৃপক্ষকে সেসময় দুর্নীতির কথা বললে,উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাসহ সেনাবাহীনীর পর্যবেক্ষনের টিম আসবে তার পর খালের পানি ছাড়া হবে,কোন দুর্নীতি থাকলে ঠিকারদার বিল পাবেনা এসব বলে শান্তনা। এরই মধ্যে হঠাৎ পানি ছাড়া হলো । তবে এলাকায় স্বস্তি পেল হাজার বিঘা জমির মৎস্য উৎপাদনকারী শত শত ঘের ব্যবসায়ী।খাল কাটানোর সময় খালের গতিপথ পরিবর্তন করে প্রভাবশালীদের বাঁচাতে অসহায়দের ভোগ দখলীয় জমিতে খাল-খনন করার অভিযোগও উঠেছিল সে সময়। তাছাড়া এখনও রয়ে গেছে প্রভাবশালী প্রতিপত্তিদের ভবনসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিছু কিছু স্থানে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে প্রভাব শালী টাকা ওয়ালাদের ঘর।বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবদ্ধতা নিরসনে বদ্ধ পরিকর। তাই তিনি এদেশের নদ-নদী, খাল-বিল, হাওড়-বাওড়সহ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলার সংযোগ হওয়া সাঁপমারা খাল খননকল্পের কাজ সম্প্রতি নয়-ছয় করে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে করোনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে খালের কাজ শেষ হতে না হতেই খালের ভিতর থেকে গড়ে তুলছে রড দিয়ে ঢালাই করা পাকা কংক্রিটের পাচিল । আর এটি করছেন উপজেলা সখিপুর-পারুলিয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় জনতা ফার্ম্মেসীর শর্তাধীকারী দেবু বিশ্বাস।এতে একদিকে যেমন খালের উপরিভাগ কমে যাচ্ছে,অন্যদিকে তেমনি ¯্রােতের বেগ কমে খালের ঐ স্থানটি মজে যাবে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। গত বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে নদী খনন পর্যায়ে দেবহাটার সাঁপমারা খালটির আশাশুনীর শোভনালী ইউনিয়নের কাটাখালী হতে দেবহাটার পারুলিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত দেবহাটা সদর ইউনিয়নের ভাতশালায় ইছামতি নদীর সংযোগস্থল পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খননের জন্য দুইটি প্যাকেজে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। খাল খননের প্যাকেজ দুটির কাজ ইতি শেষ করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ ব্যপারে জনতা ফার্ম্মেসীর শর্তাধীকারী দেবু বিশ্বাস তার ভবন রক্ষার্থে এটি করছেন বলে তিনি জানান।