দেবহাটায় পৈতৃক সম্পত্তি কেড়ে নিতে হয়রানি, প্রতিবাদে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

0
102

দেবহাটা প্রতিনিধি: সাবেক সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক সেনা সার্জেন্ট হাসানুজ্জামান (বাবলু)। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় দেবহাটা প্রেসক্লাব সভাকক্ষে উপস্থিত হয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সাতক্ষীরার বৈচনা গ্রামের মৃত আব্দুল বারী ছেলে ঐ সাবেক সেনা সদস্য। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার পিতা মৃত আব্দুল বারী শাহ ও চাচা আব্দুর রহমান পারিবারিক বন্ঠনের মাধ্যমে ১৯৮৮ সাল থেকে উভয় ভোগদখল করে আসছে। ১৯৯৪ সালে তার পিতা শারিরিক অসুস্থতা অনুভব করলে আমাদের অংশের সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে বন্ঠন করি। আমাদের অংশে গর্ত, ডোবা ও পুকুর সহ পতিত জমি হওয়ায় সেখানে চাষাবাদ ও কোন প্রকার বর্গা দিতে পারিনি। ২০১০ সাল হতে প্রায় ৭ বছর ধরে আমরা ঐ জমিতে ভরাট দিয়ে স্থাপনা নির্মানের উপযোগী করি। পরে সেখানে স্থাপনা শুরু করি। অন্যদিকে আমার চাচা তার অংশে চাষ ও বর্গা দিয়ে সার্বিক সুবিধা নিয়ে আসছেন তিনি। কিন্তু ৫-৬ মাস আগে আমাদের স্থাপনার জায়গা তার (চাচার) বলে দাবি করেন তিনি। এমন অবস্থায় মিমাংসার কথা বললে তিনি উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করতে থাকে। এরপর তার পুত্র জুলফিকার আলি জিন্নাহ আমাদের নামে বিভিন্ন জায়গায় ৫/৬টি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় বসাবসি হলে অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিয়ে মিমাংশা করে দেন। কিন্তু কিছুদিন পর তারা আবারো নতুন করে হয়রানি শুরু করে। আমি তাদের অত্যাচারের অতিষ্ট হয়ে এ.ডি.এম কোর্টের সম্মূখিন হই। মামলা নং-পি ১২৬৯/২১ দায়ের করি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা আমার বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারা মতে পি-৩৯/২২ দায়ের করে। যার ধার্য দিনের আগে ১৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮ টার দিকে মাইক্রো, মোটারসাইকেল যোগে প্রায় ৫০-৬০ জনের দল অস্ত্র নিয়ে আমাদের জমিতে এসে আমাদের হুমকি দিতে থাকে। এমনকি আমাদের বিভিন্ন গাছ কেটে এবং স্থাপনা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি করে। আমার চাচার ছেলে জুলফিকার আলি জিন্নাহ’র নেতৃত্বে আসা সন্ত্রাসীরা আদালতের ধার্য দিনের আগে আইনকে অবমাননা করে আমাদের খুন, জখম হুমকি ও ক্ষতি সাধন করে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা চাচাতো ভাই নিজেকে কখনো শিক্ষক, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। তার কবল থেকে আমরাও নিস্তার পাচ্ছি না। এমনকি ঘটনার দিন আমাদের ক্ষতি করে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্তে ফেলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি তাদের উক্ত হয়রানি ও অত্যাচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে তাদের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।