দেবহাটায় ঘূর্ণিঝড় “ইয়াশ” মোকাবেলায় প্রস্তুত ১৫ আশ্রয় কেন্দ্র

0
165

আব্দুর রব লিটু, দেবহাটা : ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াশ’ মোকাবিলায় প্রস্তুত দেবহাটা। ঘূর্ণিঝড় টি মঙ্গলবার থেকে বয়ে যাওয়ার কথা থাকায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ইয়াশের প্রভাবে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে দেখা যায়। বৃষ্টির সাথে বাতাশের আদ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত দিনের তুলনায় অনেক অংশে বেড়েছে সীমান্তবর্তী ইছামতির নদীর পানি। মানুষ স্বাভাবিক ভাবে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারলেও বাড়ি ফিরতে ভোগান্তির সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। তবে চলতি মৌসুমে ঘূর্ণিঝড় আমসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশংঙ্কা বিরাজ করছে এলাকায়। এছাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে ঘূর্নিঝড় ইয়াশ সর্তকতায় মাইকিং করতে দেখা গেছে। খোলা হয়েছে উপজেলা কন্ট্রোল রুম। উপজেলা পর্যয়ে উদ্ধার সহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দেবহাটা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার শফিউল বশার জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক দেবহাটায় ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। একই সাথে সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে সার্বিক বিষয় তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে উপজেলার রাঙ্গাশিশা, চালতেতলা, ঢেপুখালি, টিকেট, আন্দুলপোতা, গোপরাখালি, পারুলিয়া গুচ্ছগ্রাম, দক্ষিণ নাংলা সহ কয়েকটি এলাকাকে বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
এদিকে ঘূর্নিঝড়ে ইছামতি নদীর বেড়িবাধের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী ওবাদুর রহমান জানান, ইছামতি নদীর কোমরপুর, ভাতশালা, টাউনশ্রীপুর, নাংলা সহ কয়েকটি এলাকার বেড়িবাধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাটির বস্তা ও জিও ব্যাগ দিয়ে বাধ রক্ষার কাজ চলমান আছে। এছাড়া সংকেত শুনে নদীর পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্রব কুমার সাহা জানান, ঘূর্নিঝড় প্রতিরোধে মানুষকে আশ্রয়স্থলে আসতে পুলিশ মাইকিং করে সচেতন করছে। এছাড়া ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্য জেনে সাবধনতা অবলম্বন করার অনুরোধ জানান তিনি।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার জানান, ঘূর্নিঝড় ইয়াশ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার কমিটি, জনপ্রতিনিধি, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সভা করার করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রের বাহিরে প্রতিটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরাপদ স্থান হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আবহাওয়া দপ্তরের বার্তা ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।