দুর্ভোগ কাটতে না কাটতেই ফের পানিবন্দি ৩০ হাজার পরিবার

0
156

টাইমস ডেস্ক :
টাঙ্গাইলের বাসাইলে বন্যায় দুর্ভোগ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আবারও প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে নতুন করে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে আতঙ্কে রয়েছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো। নতুন করে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার পৌংলী, বংশাই, লাঙ্গুলিয়া ও ঝিনাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে জেলার অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা বাসাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার ফুলকী, কাশিল, কাউলজানী, কাঞ্চনপুর, বাসাইল সদর, হাবলা ইউনিয়ন ও বাসাইল পৌরসভার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট। ফলে উপজেলা সদরের সঙ্গে ৬টি ইউনিয়নের সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে এসব এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। উপজেলার ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় মানুষ কিছুটা স্বর্তিতে ছিল। কিন্তু নতুন করে আবার পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কাঁচা-পাকা সড়কও ডুবে গেছে। এতে করে মানুষ পুনরায় বন্যার কবলে পড়েছেন।’ কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ খান বলেন, ‘বাসাইল সদরের সঙ্গে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নৌকা ছাড়া যাতায়াতের বিকল্প কোনও পথ নেই। ফলে এই ২২টি গ্রামের মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছেন।’ উপজেলা প্রকৌশলী রোজদিদ আহমেদ বলেন, ‘এবারের বন্যায় বাসাইলে দু’টি সেতু ভেঙে গেছে। এছাড়াও ৪-৫টি সেতু ও বিভিন্ন কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর নতুন করে পানি আসায় আরও একটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। এছাড়াও প্রায় ৭০ কিলোমিটার কাঁচা ও প্রায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক ইতোমধ্যেই পানিতে ডুবে গেছে।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সেটি বলা যাচ্ছে না। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হবে।’ বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, ‘বাসাইল নিচু এলাকা। নতুন করে পানি প্রবেশ করে বাসাইল সদরের সঙ্গে সব ইউনিয়নের সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে রয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হবে।’