তালায় বাল্য বিয়ে বন্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে মারপিঠ সহ শ্লীলতাহানী, আহত-৪

0
201

তালা প্রতিনিধি:
তালায় বাল্য বিয়ে বন্ধ হওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে ৪জন কে রক্তাক্ত জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় একগৃহবধুকে শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার উত্তরনলতা গ্রামে। আহতদের মধ্যে গৃহবধু জাহানারা বেগম বর্তমানে তালা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহত অন্যান্যরা হলেন, নলতা গ্রামের মৃত জয়দার মোড়লের ছেলে শামছুর রহমান মোড়ল(৫৮), শামছুর রহমান মোড়লের ছেলে মামুন মোড়ল (২৮), সুমন মোড়ল (১৯)। এ ঘটনায় তালা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শামছুর রহমান মোড়ল জানান, সম্প্রতি প্রতিবেশি ছাত্তার মোড়লের ৮ম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া কণ্যার বাল্যবিয়ে বন্ধ হওয়ায়, সিরাজ মোড়লের ছেলে বাক্কার মোড়ল (৪৬), ছাত্তার মোড়ল (৩০), রিপন মোড়ল (২৪) সন্দেহ মূলক ভাবে আমার ছেলে মামুনকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এসময় আমার স্ত্রী জাহানারা বেগম ঠেকাতে গেলে তাকে পিটিয়ে জখম সহ শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। শামছুর রহমান আরও জনান, মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছে, কিন্তু আমার ছেলে মামুন ছেলে পক্ষের বাড়িতে গিয়ে কোন বাজে কথা বলেনি। বাল্য বিবাহকে কেন্দ্র করে আমাদের পিটিয়ে জখম করেছে। এ ব্যাপারে জানতে বাক্কার মোড়লের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যপারে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু বলেন, ছাত্তারের মেয়ের সাথে ইভটিজিং এর কোন ঘটনা এলাকায় ঘটেনি। প্রেম ঘটিত ব্যাপার ছিলো । এব্যাপারে খলিলনগর পুলিশ ফাড়িতে শালিস হয়ে সব মিমাংসা হয়ে গেছে। ছেলেটি এখন বাহিরে চাকরি করে করোনা ভাইরাসের কারনে বাড়িতে এসেছে। এদিকে ছাত্তার মোড়লের মেয়ের বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পূর্বের রাগ সাধবার জন্য ইভটিচিং মিথ্যা আপবাদ দিয়ে দেশের এই পরিস্থিতিতে এলাকা অশান্ত করে তুলেছে।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান , ঘটনাটি শুনেছি, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগী পরিবার জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।