তালায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাধের মাটি খাচ্ছে বিস্মিল্লাহ ব্রিক্স

0
335

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাধের মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। উপজেলার জেঠুয়ায় জনবহুল এলাকার ফসলি জমিতে গড়ে উঠা বিসমিল্লাহ ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটা এ মাটি কর্তন করছেন। বিসমিল্লাহ ব্রিকস বেড়িবাধের মাটি কেটে তৈরী করছে ইট। বেড়িবাধের মাটি নেয়ার ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধতার আশংকায় রীতিমত আতংকে রয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেঠুয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ সরদারের ছেলে হাফেজ জহুরুল ইসলাম একই এলাকার কামরুল ইসলাম,মো: মোতালেব গংদের কাছ থেকে ১১ নং জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া মৌজার জে.এল নং-১৩০,সিট নং-১ এলাকার প্রায় ৪ একর সম্পত্তি ইজারা নিয়ে ইট ভাটা স্থাপন করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ভাটার জমি দাতা ও মালিক পক্ষ পরষ্পর যোগসাজশে বসত-ভিটা থেকে শুরু করে ফসলি জমির দাগ-খতিয়ান সম্পৃক্ত করে ইজারা চুক্তি সম্পন্ন করলেও মুলত তারা বিআরএস খাস খতিয়ানের জমিতেই ভাটা স্থাপন করছেন।যার একপাশে রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী জেঠুয়া হাট-বাজার, জনবহুল মালোপাড়া, ঘোষপাড়া, অন্য পাশে জালালপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,জেঠুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,একটি এতিম খানা ও পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যের ধারক কপোতাক্ষ নদ।
এছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এর ছাড়পত্র বা লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধ ভাবে ভাটা স্থাপন করে বেড়িবাধের মাটি কেটে নিয়ে ইট প্রস্তুত করছে।
সরকারের ২৬২ কোটি ব্যয়ে খননকৃত কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাধের মাটি কেটে ইট তৈরি করার কারনে বর্ষা মৌসুমে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এব্যাপারে বিসমিল্লাহ ব্রিকস’র ম্যানেজার মফিজুল ইসলাম নিকট জানতে চাইলে তিনি বেড়িবাধের মাটি কাটা কথা স্বীকার করে বলেন, বেড়িবাধের মাটি কেটে ভাটার ট্যাক্টর যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভাটার মালিক বাইরে আছে বলে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
এদিকে ্এলাকাবাসীর জোরদাবী তদন্তপূর্বক বিস্মিল্লাহ ব্রিক্স’র কার্যক্রম বন্ধে অনুমোদন না দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, ইট ভাটার বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।