খুলনাটাইমস: ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তার পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে তার ছেলে। নিহত সাদিক বিন সাজ্জাদ ঢাকা সিটি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকদ্বিতীয় বর্ষে পড়ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমানের ছেলে। গতকাল সোমবার সকালে আজিমপুর সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় সাদিকের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে লালবাগ থানার ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিন জানান। তিনি বলেন, সকালে প্রাইভেট টিউটর পড়াতে এলে সাদিক দরজা খুলছিলেন না। ডাকাডাকি করে তার সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়। ভেতরে সাদিকের লাশ পড়ে ছিল, মাথায় ছিল গুলির চিহ্ন। তার বাবার লাইসেন্স করা অস্ত্রটি পড়ে ছিল লাশের পাশে। সাদিক কখন তার বাবার আলমারি থেকে পিস্তলটি সরিয়ে নিয়েছিলেন, ঠিক কখন তিনি ‘নিজের মাথায় গুলি চালান’- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। ওসি বলেন, সাজ্জাদুর রহমানের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সাদিক ছিল সবার বড়। গত রোববার রাতেও তার সঙ্গে তার বাবার কথা হয়েছে। সাদিক রাতে তার বাবার মোবাইলে কিছু ছবি দেয়, ছোটবেলার পারিবারিক ছবি। সেগুলো দিয়ে তার বাবাকে অবসর সময়ে দেখতে বলে। একটা পোর্টেবল হার্ডডিস্ক ছিল ওর। একটা কাগজে পাসওয়ার্ড লিখে সেটাও ওর বাবাকে দিয়েছিল। কিন্তু ওর বাবা কিছু সন্দেহ করে উঠতে পারেননি। পুলিশের রমনা বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, কলাবাগানে পুলিশের একটি অভিযানের কারণে অন্তত রাত ৩টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন সাজ্জাদুর রহমান। ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা তার পরে কোনো একসময় ঘটেছে বলে পরিবার মনে করছে। এদিকে, সাজ্জাদের মরদেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সাজ্জাদের মরদেহের ময়না তদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ। গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি বলেন, সাদিকের মাথার ডান পাশে একটি বুলেটের ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যেখান দিয়ে বুলেটটি ঢুকে মাথার বাম পাশের চামড়ার নিচে আটকে ছিলো। সেই বুলেটটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাজ্জাদের শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই বুলেটের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি কন্টাক্ট শট বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে লালবাগ থানা পুলিশ নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা