ডুমুুিরয়ার শোভনায় নির্মানের ১২দিন পর ভেঙ্গে গেল কাঠের সেতু ঃ বিপাকে এলাকাবাসি

0
325

এস রফিক,ডুমুরিয়া: ডুমুরিয়ার শোভনায় খননকৃত ভদ্রানদীতে নব-নির্মিত কাঠের সেতু নির্মানের মাত্র ১২দিন পর তা মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।সেতুটির একঅংশ ভেঙ্গে পড়ায় মালামাল আনা-নেয়া তো দুরের কথা লোক চলাচলেরও অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ফলে দারুন ভোগান্তিতে পড়েছে শোভনা-খর্ণিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।তবে আশার কথা হল পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে শীঘ্রই এটি মেরামত করা হবে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়,ডুমুরিয়ায় জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শালতা ও মরা ভদ্রা খনন করা হয়।এর আগে ওই ভরাট ভদ্রানদীর উপর দিয়ে শোভনা,গাবতলা,চিংড়াসহ একাধিক স্থানে পাকা সড়ক নির্মান করে দু’পারে স্থায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।এতে উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়ে কৃষি বিপ্লব এলাকা নামে পরিচিত শোভনা,গাবতলা,চিংড়া,মলমলিয়া,পূর্ব শোভনা,জিয়ালতলাসহ প্রায় ২০টি গ্রামে অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন যাত্রার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে।সম্প্রতি নদী সংযোগ এলাকায় স্থায়ী কোন ব্রীজ বা কালভার্ট নির্মাণ না করে শোভনা-ভদ্রদিয়া,ডুমুরিয়া-চিংড়া ও গোডাউন-জোয়ারে এলাকায় নামে মাত্র তিনটি কাঠের পোল নির্মাণ করা হয়।এরমধ্যে সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ শোভনা-ভদ্রদিয়া এলাকায় নির্মিত কাঠের সেতুটি।যা স্থাপনের মাত্র ১২দিন পর তার একঅংশ ভেঙ্গে মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।এ নিয়ে কথা হয় শোভনা এলাকার আব্দুল জলিল,ইসমাইল হোসেন,খোদাবক্স শেখ সহ অনেকের সাথে তারা অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে কোন স্থায়ী ব্যবস্থা না করে নির্মাণ করা হল নামে মাত্র একটি কাঠের সেতু,তাও আবার ১২দিন পর ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা পড়েছি দারুন বিপাকে।আমাদের উৎপাদিত কোন কৃষিপণ্য বাজারজাতের কোন ব্যবস্থা না থাকায় যোগাযোগ ও অথনীতিতে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি।শোভনা-খর্ণিয়া মটর সাইকেল চালক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান মোল্যা,ভ্যান চালক হায়দার আলীসহ অনেকেইে বলেন,সেতুটি ভেঙ্গে যে দশা হয়েছে তাতে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রয়েছি বড় কষ্টে।জনভোগান্তি চরমে উল্লেখ করে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণি বলেন,নিম্নমানের বাঁশ,খুটি,কাঠ দিয়ে যখন গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি নির্মাণের পূর্বে এলাকাবাসি মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা করলেও কর্ণপাত করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।উল্টা আমাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে।সেতু নির্মাণের মাত্র ১২দিনের মাথায় কিভাবে ভেঙ্গে গেল এমন প্রশ্নের উত্তরে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন,মাত্র ৫ লক্ষ টাকায় ২৭০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট কাঠের ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছে।যা প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সেতুটি মানসম্মত হয়নি।তবে শীঘ্রই সেতুটি মেরামত করে জন ভোগান্তি দুর করা হবে।