ডুমুরিয়ায় বছরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৯ আহত ২১৬

0
333

এস রফিক, ডুমুরিয়া: ডুমুরিয়ায় গত এক বছরে ৯৬টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯জন নিহত ও ২১৬ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে ৩২টি অগ্নিকান্ডে ৫জন আহত ও বাড়ি-ঘর পুড়ে ১৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।প্রতিটি দূর্ঘটনায় হতাহতদের সেবায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে ঠিকই কিন্তু এতে তো আর দূর্ঘটনা রোধ হচ্ছে না।এজন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা,প্রশিক্ষীত চালক দ্বারা ড্রাইভিং ও জন সচেতনতার বিকল্প নেই,এমন মন্তব্য আইন শৃংখলা বাহিনী ও সুশীল সমাজের।উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন অফিস সূত্রে জানা যায়,ডুমুরিয়ায় ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে।এর বেশীর ভাগ দূর্ঘটনার সাথে যাত্রীবাহি বাস জড়িত।আর এ দূর্ঘটনায় বছরের শুর”তে ১৯ জানুয়ারী উপজেলার নরনিয়ায় বাস দূর্ঘটনায় নিহত হয় উপজেলার উখড়া এলাকার গৃহবধূ নাছিমা বেগম (৪০), ৯জুন বালিয়াখালি ব্রীজের পাশে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত হয় ফকিরহাট এলাকার ইমদাদুল হক (৩৫), ৫নভেম্বর কাঁঠালতলা বিশ্বাসবাড়ি মোড়ে মাহেন্দ্রা-ট্রাক দূঘৃটনায় নিহত হয় কেশবপুর সাগরদাঁড়ি এলাকার আমিনুন্নেছা (৬৫),৪ডিসেম্বর বালিয়াখালী ব্রীজের আগে কাভার্ডভ্যান খাদে পড়ে নিহত হয় চালক খুলনার গোয়ালখালি এলাকার শহিদুল ইসলাম (২৫), ১১ডিসেম্বর আঠারমাইল বাস দূর্ঘটনায় নিহত হয় ফকিরহাট এলাকার আবু বক্কার লাভলু (৫৫),১৩ডিসেম্বর নিহত হন পাইকগাছার লক্ষীখোলা এলাকার মফিদুল তরফদার (৩৫),২০মার্চ গুটুদিয়া ও ২৬এপ্রিল বালিয়াখালী এলাকায় বাস দূর্ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ২জনের মৃত্যু হয়।সর্র্বশেষ ২৩ডিসেম্বর বালিয়াখালী ব্রীজের পাশে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ী খাদে পড়ে সেনা সদস্য ময়মনসিং এলাকার মুক্তাগাছার শফিকুল ইসলাম (৪৫) নিহত হন।এছাড়া আহত হয়েছেন ২১৬জন।যাদের মধ্যে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছেন কোন রকমে।কিন্তু কেন এত দূর্ঘটনা ? এ নিয়ে কথা হয় সুশীল সমাজের নারায়ন মল্লিক, শিক্ষক মোঃ আইউব হোসাইন সহ অনেকের সাথে।তারা অভিযোগ করে বলেন,খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ও খুলনাগামী অধিকাংশ যাত্রীবাহি বাস ফিটনেসহীন,তার উপর বেশীর ভাগ চালক অদ্যক্ষ ও হেলপার দ্বারা পরিচালিত।এছাড়া অধিক যাত্রীর আশায় সময় ক্ষেপন করে থাকে।যে কারনে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে থাকে এবং দূর্ঘটনার শিকার হয়।কিসে এর প্রতিকার এ নিয়ে কথা হয় ফায়ার সাভির্সের ষ্টেশন কর্মকর্তা যুগল বিশ্বাস ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের সাথে।তারা একই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন গাড়ির চালক অবশ্যই দক্ষ ও নীতিমালার মধ্যে থাকতে হবে।বিশেষ করে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী কথাটি মাথায় রেখে চালককে ট্রাফিক আইন মেনে রাস্তায় চলতে হবে।পাশাপাশি যাত্রী ও পথচারি সতর্কতার সাথে চলাচল করবে।যেন দূর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।এজন্য জন সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।