জনপ্রিয়তায় এগিয়ে পানখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের

0
594
দাকোপের পানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের।

ফারহা শেখ, টাইমস প্রতিবেদক:
দাকোপের পানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের। ৬৩ বছরের জীবনে ৪৮ বছরই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। চার দফায় ছিলেন ইউপি সদস্য। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি, এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বে আছেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতন আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এই সৈনিক। তিনি নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হয়ে বিগত ইউপি নির্বাচনে জয়ী হন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ফের প্রতিদ্ব›দ্বীতা করবেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন। গত ২১ ফেব্রæয়ারি দিনভর ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত পরিদর্শন করার সাথে সেখানকার সাধারণ জনতা, ব্যবসায়ী, সুধীজন, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের (৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মঈন সরদার, ব্যবসায়ী আবুল হাসান শেখ, ৫নং’র আজু শেখ, ৩নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী রোকন গাজী, বিশিষ্টজন নিত্যানন্দ গোলদার, প্রবীন রাজনীতিক এবিএম রুহুল আমিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার সরকার) সাথে কথা হলে, এই চেয়ারম্যান’র জনপ্রিয়তার চিত্র ফুঁটে ওঠে। জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চে দাকোপ উপজেলার পানখালি ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। ৯টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ওয়ার্ডটি গঠিত। তখন ইউনিয়নের অধিকাংশ সড়কের বেহাল অবস্থা, কাঁচা এবং আধা পাকা সড়কের মানুষের চলাচলে ভোগান্তিও কম ছিল না। তবে এই চিত্র বদলাতে থাকে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জয়ী হবার পর থেকে। একে একে যোগাযোগ ব্যবস্থার এক আমূল পরিবর্তন ঘটে। কাঁচা মাটির সড়কগুলোতে ইটের সোলিং, আর ইটের সোলিংয়েরগুলো পিচের রাস্তায় রূপ নেয়। তবে কতিপয় সড়কের নির্মাণ কাজের মান নিয়ে তার মধ্যে অসন্তোষও আছে। এছাড়া বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় কৃষিখাতে প্রাণের সঞ্চার ঘটেছে। ফিরে এসেছে সমন্বিত চাষাবাদ ব্যবস্থা। হাসি ফুঁটেছে কৃষক পরিবারে। উল্লেখ্য, বিগত দিনে সেখানে বছরে একবারই মাঠে ধানের চাষ করতেন কৃষকরা। তবে এখন একই মাঠে একাধীক ফসল ফলান তারা। ধানের পাশাপাশি তরমুজ ও সরিষার বাম্পার ফলন সেখানে হচ্ছে। সুপেয় পানির টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদেরের ভ‚মিকা এলাকাবাসীর কাছে ভ‚য়সী প্রশংসা পেয়েছে। তিনি সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় একাধীক সুপেয় পানির প্লান্ট স্থাপন করেছেন। আর এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে নোনা পানি পানের দীর্ঘদিনের সংকট দূর করে পানখালীবাসিকে স্বস্তির নি:শ্বাস এনে দিয়েছে। ফলে এলাকায় পানি বাহিত রোগী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। এদিকে নদী ভাঙন রোধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া তার নিয়মিত কাজের অংশ বলে জানা গেছে। পানখালী ইউনিয়নে নদী ভাঙন এক বড় সংকট। গত বছরেও নদী ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের শত শত ঘর-বাড়ি, বসতভিটা বিলিন হয়ে যায়। তখন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন এবং এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে অংশ নেন চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের। তাছাড়া সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন অনুদান, সহায়তা, বরাদ্দের চাল, কৃষি ও শিক্ষা উপকরণের সুষম বন্টনে তার স্বচ্ছতা প্রশংসার দাবি রাখে, অভিমত এলাকাবাসীর। পানখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল কাদের খুলনাটাইমসকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ও তাঁর সহায়তায় পানখালী ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। করোনাকালে উল্লেযোগ্যহারে ত্রাণ ও নগদ সহায়তা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারের সহযোগিতায় ও ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এখানকার বাসিন্দারা ঝড়, জলোচ্ছাস, রোগ-ব্যাধি সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে। পারিবারিক মেলবন্ধন যেমন বেড়েছে, তেমনি জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে তাদের। আসন্ন নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মী, ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং নিজ অনুসারীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে আবারও নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুন আছেন। ইতোমধ্যে তিনি ও তার কর্মীরা নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নানান কৌশল গ্রহণ করেছেন। জনগণের সাথে তার হৃদ্রতা আছে, তারপরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুশল বিনিময়, অসহায় পরিবারের খোঁজ রাখা, সংখ্যালঘু পরিবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তাকে মনোনয়ন দিলে পানখালী ইউনিয়নের পুনরায় নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবেন, এমন আত্মবিশ্বাসের কথা তুলে ধরেন তিনি। এজন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় ইউনিয়ন, উপজেলা এবং জেলা শাখা সভাপতি ও সম্পাদকের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।