চুলকাঠিতে সড়ক নিয়ন্ত্রনে নিয়োজিত সিদ্দিকের বেতনের দায়িত্ব নিলেন শিল্পপতি লিটন শিকদার

0
549

চুলকাঠি ( বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
খুলনা-মংলা মহাসড়কের চুলকাঠি বাজার বাস ষ্ট্যান্ড ও সৈয়দপুর বটতলা ষ্ট্যান্ডে সড়ক নিয়ন্ত্রনে আত্মনিবেদিত সিদ্দিক ভাইয়ের বেতন-ভাতার দায়িত্ব নিলেন শিল্পপতি লিটন শিকদার।
এলাকাবাসী জানান, বাজারের বাস স্ট্যান্ড ও সৈয়দপুর বটতলা স্ট্যান্ডে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে আসছে। চুলকাঠি তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ কয়েক বছর ধরে বাজারের স্ট্যান্ড দুইটিতে জানযটমুক্ত এবং ভ্যান-ইজিবাইকমুক্ত করতে কাজ করেও জানযটমুক্ত রাখতে পারেনি। কছিুদিন আগে সৈয়দপুর বটতলা স্ট্যান্ডে সুগন্ধি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গৌরাংগ বিহারী দাশ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর থেকে বাজার কমিটি, চুলকাঠি পুলিশ তদন্তকেন্দ্র, স্থানীয় রাজনীতিবীদ ও সচেতন এলাকাবাসী স্ট্যান্ড দুইটিকে জানযটমুক্ত করার কথা ভাবলেও তাদের পরিকল্পনা বাস্তবে কোন কাজে আসেনি। অবশেষে সিদ্দিকুর রহমান “সিদ্দিক ভাই” কে সড়কের ভ্যান গাড়ি ও ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও বাজার কমিটি কাজ করতে বললেও তার বেতন নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। বাজার কমিটি একমাসে তাকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে জানিয়ে দেন বাজার কমিটি থেকে তাকে বেতন দেওয়া সম্ভব হবে না। বাজারের দোকানদাররা এখন নিজেরাই ডিউটি দেন অর্থাৎ দোকানদারদের কাছ থেকে ডিউটির টাকা নেওয়া হয়না। এই অবস্থায় সিদ্দিক ভাই কিভাবে কাজ করবেন আর কেনই বা কাজ করবেন ? এমন প্রশ্ন যখন এলাকার বিভিন্ন জনের মুখে মুখে আলোচনা হচ্ছিল। তখন স্থানীয় নেতৃস্থানীয় বলেন, সিদ্দিক ভাই এ কাজে নিয়োগ হবার পর মহাসড়কের উপর কোন ভ্যান-ইজিবাইক অবস্থান করছে না এবং বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে আর কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। তাই সিদ্দিক ভাইয়ের কাজ অব্যহত রাখতে কেহ কেহ দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার প্রস্তাবও দিচ্ছিলেন। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন অন-লাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ বিষয়ে খবরটি প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এলাকার বিশিষ্ট শিল্পপতি লিটন শিকদারের দৃষ্টিপাত পড়ে খবরটির উপর। তখন তিনি চুলকাঠি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জিএম মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে তাকে জানান, “তিনি সিদ্দিক ভাইয়ের তাকে দুই সেট ড্রেস এবং জুতা কিনে দিয়েছেন এবং প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা তাকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। বাকি ৩ হাজার টাকা বাজার কমিটি তাকে দিচ্ছেনা তা’ তিনি জানেন না।” তিনি আরও বলেন, বাজার কমিটি এ ব্যাপারে তার সাথে আলোচনা করলে হয়তো তার বেতনের টাকা নিয়ে সমস্যা হতো না। মাসিক ৩ হাজার টাকায় একটি লোকের কিছু হয় না। তারপর তার পরিবার রয়েছে। অবশেষে তিনি সিদ্দিক ভাইয়ের বেতনের দায়িত্ব নিলেন এবং বললেন, এখন থেকে তিনিই সিদ্দিক ভাইয়ের বেতন-ভাতা নিয়মিত দিবেন।