চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান

0
706

খুলনাটাইমস বিনোদন: মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান আবারো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিনভর নির্বাচনের পর দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক(২০১৯-২১) নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী মৌসুমীকে পরাজিত করে পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং ইলিয়াস কোবরাকে পরাজিত করে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জায়েদ খান। মিশা ও জায়েদ যথাক্রমে ভোট পেয়েছেন ২২৭ ও ২৮৪টি। মৌসুমী পেয়েছেন ১২৫টি ভোট। আর ইলিয়াস কোবরা পেয়েছেন ৬৮টি। অনেক প্রতীক্ষার পর সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চন। এবার ২১টি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। মোট ভোটার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৮৬জন। নির্বাচিত হওয়ার পর গণমাধ্যমকে মিশা শওদাগর বলেন, ‘সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আবারো জয়ী হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী, কলাককুশলী এবং এফডিসি কর্তৃপক্ষ সহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জয়ী হওয়ার পরই আমার প্রথম কাজ হবে ইশতেহারে যা যা বলেছিলাম তার বাস্তবায়ন ঘটানো। শিল্পীদের সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাবো। আমাদের গতবার যে কাজগুলো করা হয়নি সেগুলো এবার পূরণ করব।’ সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব। শিল্পীরা কেউ হারেনি। আমরা আগামীতে যেন বিগত বছরের কাজের গতিটা ধরে রাখতে পারি সবার কাছে এই দোয়াই চাই। শিল্পী সমিতির সব ভোটারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের প্যানেলকে ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে আবারো ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। এবার আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার পালা।’ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। ভোটের আগ থেকে উত্তাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোট হয়েছে সুষ্ঠুভাবেই। এবার প্রথমবারের মতো কোনো নারী প্রার্থী সভাপতি পদে লড়েছেন। জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সভাপতি পদে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল, নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও ইলিয়াস কোবরা। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী হন সুব্রত। তার বিপরীতে কোনো প্রার্থী ছিল না। আন্তর্জাতিক পদে প্রার্থী হন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ, নায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে প্রার্থী হন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়েন দুইজন। তারা হলেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদ নির্বাচন করেছেন একা। কার্যকরী সদস্য পদ রয়েছে ১১টি। এই পদগুলোর জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন- রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, বাপ্পারাজ, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, অলেকজান্ডার বো, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব, শামীম খান ও জেসমিন।